দেশজুড়ে

ধর্ষণচেষ্টার সালিশে অভিযুক্তের সঙ্গে বিয়ের সিদ্ধান্তে হাতাহাতি

নেত্রকোনার মদন উপজেলায় ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা মীমাংসা করতে গিয়ে গ্রাম্য সালিশে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।

Advertisement

মঙ্গলবার (১৩ জুন) দুপুরে উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দিনগত রাত ১টার দিকে কাইটাইল ইউনিয়নের নুরুল ইসলামের ছেলে বাবু মিয়া (২০) প্রতিবেশী এক কিশোরীর শয়নকক্ষে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণচেষ্টা চালান। একপর্যায়ে মেয়েটি চিৎকার শুরু করলে বাবু পালিয়ে যান। লোকলজ্জায় ভয়ে বিষয়টি কাউকে জানায়নি কিশোরীর পরিবার। তবে বাবু মিয়ার রেখে যাওয়া কাপড় তার পরিবারের লোকজনের কাছে দিয়ে ঘটনাটি জানান তারা। পরে অভিযুক্তের পরিবারের লোকজন বিষয়টি মীমাংসার জন্য গ্রামের লোকজনের কাছে বলাবলি শুরু করেন। এতে ভুক্তভোগীর পরিবারের লোকজন উত্তেজিত হয়ে উঠলে মঙ্গলবার ওই গ্রামের একটি বাড়িতে মাতব্বরদের নিয়ে সালিশে বসে। সালিশে উভয় পরিবার সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার শর্তে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। সালিশে মেয়েটিকে অভিযুক্ত বাবু মিয়ার সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এতে বাবু মিয়ার বাবা নুরুল ইসলাম বিষয়টি মেনে না নিলে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

মেয়েটির চাচা বলেন, ‘সালিশ বৈঠকের সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নিয়েছিলাম। তবে অভিযুক্ত বাবু মিয়ার বাবা বিষয়টি মেনে নেননি। তাই আমরা থানায় গিয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করবো।’ সালিশের মাতুব্বর স্থানীয় ইউপি মেম্বার রিটন মিয়া বলেন, ঘটনাটি নিষ্পত্তির জন্য আমরা বৈঠকে বসেছিলাম। মেয়েটিকে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। প্রথমে বাবুর বাবা মানলেও পরে মানেননি। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।

Advertisement

মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ তাওহিদুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এইচ এম কামাল/এসআর/এএসএম