রাজনীতি

বিএনপি না এলেও নির্বাচন হবে: কাদের

বিএনপি আসুক বা না আসুক, সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

Advertisement

তিনি বলেন, বিএনপি বিদেশিদের প্রভাবিত করে আবারও ওয়ান/ইলেভেনের স্বপ্ন দেখছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে মনে মনে কলা খাচ্ছে। এ দুঃস্বপ্ন দেখে লাভ নেই।

মঙ্গলবার (১৩ জুন) হাজারীবাগ মাঠে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

আরও পড়ুন>>> পুলিশ ছাড়া রাস্তায় আসুন, দেখা যাবে কার কত সাহস: কাদেরকে ফখরুল

Advertisement

‘শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সময় শেষ’- বিএনপি নেতাদের এমন মন্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সময়টা কবে শেষ? এই শেষটা কবে হবে? গত ১৪ বছর ধরেই একই কথা বলছে বিএনপি।

এসময় লোডশেডিং ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সমাধানের কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, লোডশেডিং একেবারেই বন্ধ হবে। নিত্যপণ্যের দাম ও সংকট কমে যাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের কথা ভাবেন, যা অন্য কেউ ভাবে না। জ্বালানি সমস্যা সমাধানেও প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন দেশে গেছেন।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার অর্জনে মানুষ খুশি হলে বিএনপির মন খারাপ হয়। বিদেশিদের কাছে গিয়ে লাফালাফি করে ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি। যারা সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা দেবে তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি প্রয়োগ হবে বলেও দাবি করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দুই সিটি নির্বাচনে মানুষের অংশগ্রহণে বিএনপি হতাশাগ্রস্ত। তারা দুঃস্বপ্ন দেখেছিল যে সাধারণ মানুষও ভোট বর্জন করবে। আওয়ামী লীগ পরাজিত হলে বিএনপি বলবে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। এছাড়া কখনোই তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা স্বীকার করবে না।

Advertisement

আরও পড়ুন>>> নির্বাচনে আসুন শক্তি যাচাই করুন: বিএনপিকে কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি একটি দল যারা আইন-বিচার কিছুই মানে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করেছে উচ্চ আদালত। উন্নত বিশ্বের কোনো দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো আজব সরকার আর কোথাও নেই। বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে মনে মনে কলা খাচ্ছে। তারা বিদেশিদের প্রভাবিত করে আবারও ওয়ান ইলেভেনের স্বপ্ন দেখছে। এ দুঃস্বপ্ন দেখে লাভ নেই।

তিনি বলেন, মানুষ পোড়াবে, দেশে বিশৃঙ্খলা করবে এমন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমাদের প্রয়োজন নেই। বিএনপি আসুক বা না আসুক, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে।

এসইউজে/কেএসআর/এমএস