এমনিতেই দলে পেস বোলারের ছড়াছড়ি। ১৫ জনের দলে ৫ জন পেসার-তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন, শরিফুল ইসলাম, খালেদ আহমেদ ও নতুন মুখ মুশফিক হাসান। এর মধ্যে আবার পিচের ওপরের স্তরে সবুজ ঘাস।
Advertisement
ধরেই নেওয়া যায়, কাল বুধবার থেকে শেরে বাংলায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে যে টেস্ট শুরু, তাতে বাংলাদেশ একাদশে থাকছেন ৩ পেসার।
প্রথম একাদশে তিন পেসার থাকার কারণ বের করতে গিয়ে আরও একটা ব্যাপার চোখে পড়ছে সবার। তাহলো, বাংলাদেশ স্কোয়াডে স্পিনারই মাত্র ২ জন-মেহেদি হাসান মিরাজ আর তাইজুল ইসলাম। এছাড়া দলে আর একজন ক্রিকেটারও নেই যিনি বা যারা দীর্ঘ পরিসরের খেলায় মাঝেমধ্যেই স্পিন বোলিং করেন।
কাজেই বাংলাদেশ একাদশে তিন পেসারের সাথে দুই স্পিনার তাইজুল ও মিরাজের থাকাও মোটামুটি নিশ্চিত। এখন পর্যন্ত যা বলা হলো, তা ধারণার কথা। অনুমান নির্ভর সংলাপ।
Advertisement
টিম ম্যানেজমেন্ট, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক আর নির্বাচকদের ভাবনা কী?হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের কথা শুনে মনে হচ্ছে তিনজন তো বটেই, চারজন ফাস্টবোলার নিয়েও নেমে পড়তে পারে বাংলাদেশ।
টেস্ট শুরুর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে হাথুরুর কাছে প্রশ্ন ছিল, আপনি যখন প্রথমবার বাংলাদেশের কোচ হন, তখন বোলিংটা ছিল স্পিননির্ভর। আজকাল তো বাংলাদেশে পেস বোলারের সংখ্যা বেড়েছে বেশ। তা নিয়ে কী বলবেন?
জবাবে হাথুরু বলেন, ‘আমাদের এখন ৭ থেকে ৮ জন পেসার, যাদের যে কাউকে আমরা যখন তখন নিতে পারি। খেলাতে পারি।'
এই ৭-৮ পেসারের উঠে আসার পেছনে হাই পারফরমেন্স ইউনিটের ভূমিকার প্রশংসা করে বাংলাদেশ হেড কোচ বলেন, 'এইচপিতে তারা খুব ভালো কাজ করেছে। এবং তারা (পেসাররা) মনের আনন্দে উঠে এসেছে।'
Advertisement
পেসারদের উত্থানে যারপরনাই খুশি হাথুরুর শেষ কথাটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ, 'আমরা কাল আফগানদের সাথে টেস্টে তিনজন না চারজন পেসার খেলাবো, তা বলা কঠিন।'
এআরবি/এমএমআর/জেআইএম