রাশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি সই করেছে চেচনিয়ার নেতা রমজান কাদিরভ নেতৃত্বাধীন চেচেন বাহিনী। সোমবার (১২ জুন) রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও চেচেন নেতাদের মধ্যে ওই চুক্তি সই হয়।
Advertisement
ইউক্রেনে মস্কোর পক্ষে লড়াইরত ভাড়াটে বাহিনীগুলোকে নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে রাশিয়ার নতুন আইনের অংশ হিসেবে এ চুক্তি সই হলো। তবে ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার এ চুক্তিতে সই করেনি। গ্রুপটির প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন সই করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার হাতে হাত রেখে কাজ করবে উত্তর কোরিয়া: কিম
ইউক্রেনের দনেৎস্কের উত্তরে কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ শহর বাখমুতে লড়ছিল ইয়েভজেনি প্রিগোজিন নেতৃত্বাধীন ওয়াগনার গ্রুপ। তবে রুশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে গত মাসের শেষের দিকে বাখমুত থেকে যোদ্ধাদের সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেন প্রিগোজিন। এরপর গত ১ জুন তিনি রুশ বাহিনীর কাছে বাখমুতের দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।
Advertisement
রোববার এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে প্রিগোজিন স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন, তার বাহিনী রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কোনো চুক্তি করবে না। এমনকি প্রয়োজনে সব চুক্তি বয়কট করবে।
রাশিয়ার চেচনিয়া অঞ্চলের নেতা রমজান কাদিরভ। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরুর পর তার নেতৃত্বে প্রায় ১০ হাজার চেচেন সেনা অভিযানে অংশ নেয়। গোষ্ঠীটি পূর্ব ইউক্রেনের দনেৎস্ক অঞ্চলের মারিঙ্কা শহরের কাছে রুশ সেনাদের সঙ্গে ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ছে।
আরও পড়ুন: ওয়াগনার বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ নিতে যাচ্ছে রাশিয়া
চুক্তি সই হওয়ার পর চেচেন বাহিনীর কমান্ডার আপতি আলাউদিনভ বলেন, আমার মতে এটা খুবই ভালো একটি বিষয়। আমার বাহিনীর যোদ্ধারা প্রস্তুত রয়েছে। আমার কয়েক হাজার যোদ্ধা অভিযানে যাবে।
Advertisement
মস্কোর পক্ষে লড়াইরত ভাড়াটে বাহিনীগুলোর নিয়ন্ত্রণে সম্প্রতি রাশিয়া একটি আইন করেছে। চলতি সপ্তাহে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, সব ‘স্বেচ্ছাসেবক সেনাদলকে’ চলতি মাস শেষ হওয়ার আগেই রুশ সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তির আওতায় আসতে হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এর মাধ্যমে স্বতন্ত্রভাবে যুদ্ধ করা গোষ্ঠীগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখবেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু। এমন পদক্ষেপের মাধ্যমে যুদ্ধে রুশ সেনাদের কার্যকারিতা বাড়বে বলে মনে করছে মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: ড্রোন উৎপাদনের কারখানা তৈরিতে রাশিয়াকে সাহায্য করছে ইরান
‘স্বেচ্ছাসেবকরা’ নিয়মিত সেনাদের মতো সুযোগ সুবিধা পাবেন বলে জানিয়েছে মস্কো। যুদ্ধে আহত হলে কিংবা প্রাণ হারালে যোদ্ধা ও তাদের পরিবারকে সহযোগিতা করবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
সূত্র: আল জাজিরা
এসএএইচ/টিটিএন