ভোটে অনিয়মের অভিযোগ তুলে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মো. আব্দুল আউয়াল। একই সঙ্গে তিনি বরিশালে দলীয় মেয়র প্রার্থীর ওপর হামলার প্রতিবাদে আগামী শুক্রবারের বিক্ষোভ কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানিয়েছেন।
Advertisement
সোমবার (১২ জুন) রাত ৮টায় দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: ফের খুলনার মেয়র হলেন খালেক
এদিন রাত পৌনে ৯টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন। ফলাফলে দেখা যায়, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮২৫ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল আউয়াল পেয়েছেন ৬০ হাজার ৬৪ ভোট। ৯৪ হাজার ৭৬১ ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হন তালুকদার আবদুল খালেক। আর লাঙল প্রতীকের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধু পান ১৮ হাজার ৭৪ ভোট।
Advertisement
সংবাদ সম্মেলনে হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল আউয়াল অভিযোগ করেন, ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে। তাদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। ভোটারের আঙুলের ছাপ নেওয়ার পর আওয়ামী লীগের লোকজন হাতপাখার ভোট নৌকায় দিয়েছে। ভোটার যে প্রতীকেই ভোট দিয়েছে তা চলে গেছে নৌকায়।
আরও পড়ুন: বরিশালের নতুন নগরপিতা খোকন
এ অবস্থায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো ছাড়া আর কোনো বিকল্প পথ নেই বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে একই দিন অনুষ্ঠিত বরিশাল সিটি নির্বাচনে হাতপাখার মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিমের ওপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান আব্দুল আউয়াল। একই সঙ্গে তিনি হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানান এবং আগামী শুক্রবার ঘোষিত দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানান।
Advertisement
আরও পড়ুন: বরিশাল-খুলনার ফল প্রত্যাখ্যান, সিলেট-রাজশাহীর ভোট বর্জনের ঘোষণা
এর আগে সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে বরিশাল সিটি নির্বাচনে দলীয় মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিমের ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে আগামী শুক্রবার সারাদেশে জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করেন ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
এসময় তিনি বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে আগামী ২১ জুনে অনুষ্ঠেয় সিলেট ও রাজশাহী সিটি নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: নৌকায় যাচ্ছে হাতপাখার ভোট: আউয়াল
এসময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শোয়াইব হোসেন, খুলনা মহানগরের কেসিসি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান পরিচালক শেখ মো. নাসির উদ্দিন, সহকারী পরিচালক মুফতি আমানুল্লাহ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল্লাহ ইমরান, সমন্বয়কারী মুফতি ইমরান হুসাইন, সহ-সমন্বয়কারী হাফেজ আসাদুল্লাহ গালিব, নির্বাচনী প্রধান এজেন্ট শেখ হাসান ওবায়দুল করিম, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় উপ-সম্পাদক মুফতি আমিরুল ইসলাম, অর্থ সমন্বয়কারী আবু গালিব ও সহ-সমন্বয়কারী রবিউল ইসলাম তুষার প্রমুখ।
আলমগীর হান্নান/এমকেআর