বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৯৭৮৯ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত। সাতটি কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১২৭৮৭ ভোট। অন্যদিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম পেয়েছেন ২৯৯৮ ভোট। এছাড়া জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস পেয়েছেন ৮৭৭ ভোট।
Advertisement
সন্ধ্যায় প্রাথমিক বেসরকারি ফলাফলে এতথ্য জানান বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির।
কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্যদিয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (১২ জুন) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এখন চলছে গণনা।
নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ৮৭ নম্বর কেন্দ্র সাবেরা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনকালে এ ঘটনা ঘটে। এছাড়া প্রার্থী ফয়জুল করীমের গাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর কর্মীদের বিরুদ্ধে। এসময় তার চার সমর্থক আহত হন। সকাল ১০টার দিকে নগরীর ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউনিয়া এ কাদের চৌধুরী স্কুল কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
Advertisement
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এজেন্টদের ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ করেছেন টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্রপ্রার্থী কামরুল আহসান রুপন।
এ সিটিতে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম, জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস, জাকের পার্টির গোলাপ ফুল প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রহমান বাচ্চু, টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন, হাতি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আসাদুজ্জামান ও হরিণ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী হোসেন হাওলাদার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
৩০টি ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১৯ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের ১০টি পদের বিপরীতে ৪২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১২৬টি।
শাওন খান/এসআর/এএসএম
Advertisement