খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়ছে। সোমবার (১২ জুন) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। তবে সেটি ক্রমে বাড়তে শুরু করেছে। কেন্দ্রগুলো পুরুষের চেয়ে নারী ভোটার বেশি দেখা গেছে।
Advertisement
এদিকে ভোটগ্রহণ শুরুর পর থেকে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।নগরীতে মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক সংখ্যক সদস্য। সেই সঙ্গে রয়েছে জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
১৯ নং ওয়ার্ডের পল্লিমঙ্গল স্কুল কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, নারী ভোটারদের দীর্ঘ লাইন। প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করে ভোট দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: দুই সিটিতে ভোট শুরু, সবার নজর বরিশালে
Advertisement
ওই কেন্দ্রের সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মামুন রহমান জানান, যারা ইতোপূর্বে ব্যালটে ভোট দিয়ে অভ্যস্ত তাদের কাছে ইভিএম একেবারেই নতুন। ফলে বুজতে একটু সময় লাগছে। তবে খুব বেশি দেরি হচ্ছে না।
সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে নগরীর ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কলেজিয়েট স্কুল কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ভোটাররা সবেমাত্র আসতে শুরু করেছে। এ কেন্দ্রের ২৪ বুথে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। বুথে প্রবেশের আগেই ভোটারদের ইভিএম সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হচ্ছে।
ওই কেন্দ্রে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এসআই রাক্কিবুল ইসলাম বলেন, সকালে ভোটার উপস্থিত কম হলেও ধীরে ধীরে বাড়ছে। কোনো সমস্যা হচ্ছে না ভোটগ্রহণে।
এ কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা মিজানুর রহমান বাদল বলেন, সকালে একটু ঠাণ্ডা থাকায় আগেই ভোট দিতে এসেছি। কোনো ঝামেলা ছাড়াই ভোট দিয়েছি।
Advertisement
এদিকে নগরীতে রিকশা ছাড়া আর কোনো বাহন চলাচল না করায় বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে ভোটারসহ সাধারণ মানুষের। যে কয়টি রিকশা চলছে সেটি দিনব্যাপী চুক্তিতে ভাড়া নিয়েছেন প্রার্থীরা। রিকশায় করে ভোট কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ভোটারদের।
নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচজন, সাধারণ ২৯টি ওয়ার্ডে ১৩৪ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নগরীর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে এস এম খুরশিদ আহমেদ টোনা এবং ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে জেড এ মাহমুদ ডন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
আলমগীর হান্নান/আরএইচ/জেআইএম