প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী আগের দিন জানিয়েছিলেন, তামিম ইকবালের পুরোনো ব্যথা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তবে সেটা খুব গুরুতর নয়। ঔষধে কমে যাচ্ছে। তাই তেমন চিন্তার কারণ নেই। কিন্তু আজ রোববার শেরে বাংলা লাগোয়া ইনডোরের নেটে তামিমকে দেখে খানিক সংশয় অনেকের মনেই। নেটে ব্যাটিং করতে গিয়ে বারকয়েক কোমড় আর পিঠে হাত দিলেন তামিম। দূর থেকে দেখে মনে হলো, ব্যথা অনুভব করছেন। তাই আজ টিম বাংলাদেশের প্র্যাকটিস কভার করতে যাওয়া সাংবাদিকদের মনে জেগেছে প্রশ্ন, তামিম কি এ অবস্থায় আফগানিস্তানের সাথে টেস্ট খেলতে পারবেন?
Advertisement
নেটে অল্প সময়ের ব্যাটিংয়ে যখন অস্বস্তি বোধ করছেন, তখন ৫ দিনের টেস্টে বেশি ও লম্বা সময় ব্যাটিং করবেন কিভাবে? তখন যদি সমস্যা আরও বাড়ে, তাহলে কী হবে? বর্তমান প্রেক্ষাপটে একটি প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে অনেকের মনেই। তা হলো, তবে কি টিম ম্যানেজমেন্ট আর নির্বাচকরা বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করে বিকল্প বা বাড়তি ওপেনার দলে ডাকবেন? নাকি আগামীকাল ১২ জুন নেটে আরও তামিমের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা খুঁটিয়ে দেখে তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত? এ কৌতুহলী প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু আর অন্যতম শীর্ষ নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনের সঙ্গে কথা বলা। রোববার সন্ধ্যায় জাগো নিউজের সাথে আলাপে ওই দুই নির্বাচক জানান, আপাতত তামিমের বিকল্পের কথা ভাবছেন না তারা।
হাবিবুল বাশার সুমনের সোজাসাপ্টা কথা, ‘টেস্ট শুরুর আছে বাকি আরও ২ দিন। এখনই তামিমের ব্যাপারে কোন নেতিবাচক চিন্তা নেই আমাদের। আশা করি সে ফিট হয়ে ওঠে খেলবে।’
বাশার এমন কথাও বলেন, ‘যদি কোনো কারণে খেলতে নাও পারে, তবু বাড়তি কাউকে নেওয়ার চিন্তা নেই।’
Advertisement
দলে বিকল্প ওপেনার তো আছেই। স্কোয়াডে নাজমুল হোসেন শান্ত আয়ারল্যান্ডের সাথে শেষ টেস্টে ওপেন করেছেন, জাকির হাসান ফিরেছেন। সঙ্গে আরেক তরুণ ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়ও আছেন। অন্যদিকে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বলেন, ‘কোনোরকম নেতিবাচক ভাবনা নেই আমাদের। কারণ ফিজিও এখনো আমাদের কোনো নেতিবাচক কথা বলেননি, যা শুনে মনে হতে পারে যে তামিম খেলতে পারবে না বা তার খেলার সম্ভাবনা কম।’ নান্নুর শেষ কথা, ‘তারপরও আমরা কাল (সোমবার ) নেটে তামিমকে দেখবো। দেখা যাক।’
তবে হাবিবুল বাশারের মত প্রধান নির্বাচকও বাইরে থেকে কারো দলভুক্তির সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন।
এআরবি/এমএমআর/জিকেএস
Advertisement