পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে জুন মাসে প্রবাসী আয়ে (রেমিট্যান্স) গতি বেড়েছে। চলতি (জুন) মাসের প্রথম ৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৫৭ কোটি ৫৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৬ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা ধরে)।
Advertisement
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন বলছে, চলতি মাসের প্রথম ৯ দিনে ৫৭ কোটি ৫৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার বা ৬ হাজার ২৪৫ কোটি টাকার প্রবাসী আয় এসেছে দেশে। মাসটিতে প্রতিদিন আসছে প্রায় ৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার বা ৬৯৪ কোটি টাকা। রেমিট্যান্স আসার এ ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে প্রায় দুই বিলিয়নের কাছাকাছি (১৯০ কোটি ডলারের বেশি) চলে যাবে।
এর আগে সব শেষ মে মাসের পুরো সময়ে ১৬৯ কোটি ১৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার এসেছিল। সে হিসাবে এখন পর্যন্ত চলতি মাসে রেমিট্যান্সে প্রবাহ ভালো।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, সামনে যেহেতু কোরবানি ঈদ, তাই ঈদকে কেন্দ্র করে মাসের বাকি সময়ে আরও বেশি রেমিট্যান্স আসবে।
Advertisement
আরও পড়ুন: বিদেশে স্থায়ী হতেও লাগবে কর সনদ, তল্লাশি-জব্দে অসীম ক্ষমতা
তাদের ভাষ্যমতে, কোরবানির ঈদে কোরবানিবাবদ এবং একই সময়ে কেনাকাটার জন্যও প্রবাসীরা নিজ পরিবারের কাছে রেমিট্যান্স পাঠাবেন। এ ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে দুই বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি চলে আসবে।
জুন মাসের প্রথম ৯ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১১ কোটি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৪২ কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার। এছাড়া বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২১ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স।
আলোচিত সময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ৯টিতে দাঁড়িয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব, বেসরকারি খাতের বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড, কমিউনিটি ব্যাংক লিমিটেড, সিটিজেনস ব্যাংক পিএলসি।
Advertisement
আর বিদেশি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- হাবিব ব্যাংক লিমিটেড, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া, উরি ব্যাংক এবং সিটি ব্যাংক এনএ।
ইএআর/এমএইচআর/জিকেএস