পটুয়াখালীর দুমকিতে হাত-পা বেঁধে শরীরে আগুন দেওয়া গৃহবধূ হালিমা আক্তার মিম ওরফে সুমি আক্তার (২১) মারা গেছেন। শুক্রবার (৯ জুন) বিকেলে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অস্থায় মারা যান তিনি। তবে তার সঙ্গে থাকা অগ্নিদগ্ধ ৬ মাসের শিশুটি সুস্থ আছে।
Advertisement
এদিকে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়ার ঘটনায় নিহত সুমির মামা ওমর ফারুক বাদী হয়ে সুমির শাশুড়ি পিয়ারা বেগমসহ আরও অজ্ঞাত ৩-৪ জনকে আসামি করে দুমকি থানায় মামলা করেছেন। মামলা নং-৩। মামলায় সুমির শাশুড়ি পিয়ারা বেগমকে (৫২) গ্রেফতার করেছে দুমকি থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন: গৃহবধূর হাত-পা বেঁধে গায়ে আগুন দিয়ে পালালো দুর্বৃত্তরা
পটুয়াখালীর দুমকির সাতানী গ্রামের বাসিন্দা প্রিন্স ও সুমি আক্তার দম্পতি চলতি মাসের ২ তারিখ থেকে শাহজাহান দারোগার বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিলেন। বহস্পতিবার দুপুরে মুখোশধারী দুই দুর্বৃত্ত হঠাৎ বাসায় ঢুকে গৃহবধূ সুমির হাত-পা বেঁধে শরীরে আগুন ধরিয়ে ঘরের বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে পালিয়ে যায়। এ সময় সুমির চিৎকার শুনে আশপাশের বাসিন্দারা এগিয়ে এসে সুমিকে উদ্ধার করে। তবে তার আগেই সুমির শরীরের অনেক অংশ পুড়ে যায়।
Advertisement
সুমিকে প্রথমে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখান চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে সুমি মারা যান।
দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল বাসার জানান, গৃহবধূ সুমি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এরইমধ্যে মামলা দায়ের হয়েছে এবং এক নম্বর আসামি ভিকটিমের শাশুড়ি পিয়ারা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আব্দুস সালাম আরিফ/এফএ/এএসএম