আন্তর্জাতিক

নিহতদের লাশ রাখা স্কুলটি ভেঙে ফেলছে স্থানীয় প্রশাসন

ভারতের উড়িষ্যায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পর নিহতদের লাশ প্রাথমিকভাবে বাহানগা বাজারের একটি সরকারি স্কুলে রাখা হয়েছিল। সেই স্কুলটিকে এখন ভেঙে ফেলছে স্থানীয় প্রশাসন। শুক্রবার (৯ জুন) থেকে পুরনো ভবনটি ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

Advertisement

গত শুক্রবার (২ জুন) বালেশ্বর জেলার বাহানগা বাজার স্টেশনে তিনটি ট্রেনের দুর্ঘটনায় ২৮৮ জন নিহত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে স্টেশন সংলগ্ন ওই স্কুলটিকে অস্থায়ী মর্গ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তবে একদিন পর মৃতদেহগুলোতে পচন ধরতে শুরু করায় লাশগুলো স্কুল থেকে হাসপাতালের মর্গে সরিয়ে নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: ইতিবাচক পরিবর্তন ছাড়া মালয়েশিয়া টিকবে না: আনোয়ার ইব্রাহিম

এনডিটিভি বলছে, বিকট দুর্গন্ধ থাকায় পুরো স্কুল ভালোভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার পাশাপাশি জীবাণুমুক্তও করা হয়েছিল। কিন্তু স্কুল খোলার পর  শিক্ষার্থীরা সেখানে ক্লাস করতে রাজি হয়নি। অভিভাবকরাও তাদের সন্তানদের সেখানে পাঠাতে চান না। মর্গ হিসেবে ব্যবহারের সময় অভিভাবকরা স্কুলটিতে যা কিছু দেখেছেন, তাতে সন্তানদের আর সেখানে পাঠাতে তাদের মন সায় দেয়নি বলে জানিয়েছেন অনেকে।

Advertisement

এমন পরিস্থিতিতে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি রাজ্য সরকারের কাছে স্কুলের ৬৫ বছরের পুরনো ভবনটি ভেঙে নতুন ভবন গড়ে দেওয়ার আবেদন জানায়। আবেদনে কমিটি জানায়, স্কুল ভবনটি আর নিরাপদ নেই ও ট্রেন দুর্ঘটনার পর লাশ রাখায় শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা আতঙ্ক প্রকাশ করেছেন।

আরও পড়ুন: সব অর্থনৈতিক সূচকে ব্যর্থ পাকিস্তান

বাহানগা হাইস্কুলের হেডমিস্ট্রেস প্রমিলা সোয়াইন বলেছেন, স্কুলের কিছু জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থী ও এনসিসি ক্যাডেটরা উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছিল। তবে শিশু শিক্ষার্থীরা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে আছে। তাদের ভয় কাটাতে স্কুল কর্তৃপক্ষ কিছু আধ্যাত্মিক অনুষ্ঠান ও কিছু আচার অনুসরণ করার পরিকল্পনা করেছে।

বালেশ্বরের জেলা প্রশাসক বৃহস্পতিবার (৮ জুন) স্কুলটি পরিদর্শন করেন ও ম্যানেজিং কমিটি, হেডমিস্ট্রেস, কর্মী ও অভিভাবকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি জানান, শিশুরা যেন ক্লাসে আসতে ভয় না পায়, সেজন্য তারা স্কুলের পুরনো ভবনটি ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: পাকিস্তানে গাধা বাড়ছে

সূত্র: এনডিটিভি

এসএএইচ