গত কয়েক মাস ধরে আমদানির ওপর বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ সরকার। রয়েছে জ্বালানি সংকট। এসব কারণে দেশের শিল্প উৎপাদন ও পরিষেবা—এ দুই খাতে বড় ধরনের চাপ তৈরি হয়েছে। তবে, কর্মসংস্থানে উন্নতি হলেও প্রকৃতপক্ষে খানা আয় এখনো করোনার আগের অবস্থায় ফিরতে পারেনি বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
Advertisement
সংস্থাটি বলছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) তথ্যমতে- দক্ষিণ এশিয়ায় প্রবৃদ্ধি কমবে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি কমে ২০২৩ সালে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ হবে। ২০২৪ সালে তা আরও কমে ৫ দশমিক ১ শতাংশ হতে পারে। ২০২৩ সালে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি দাঁড়াবে ২ দশমিক ১ শতাংশ।
শুক্রবার (৮ জুন) বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টাস’ প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
বিশ্বব্যাংক বলেছে, আন্তর্জাতিক লেনদেনের ভারসাম্য ব্যাহত যাওয়া ও বিনিময় হারের চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে বাংলাদেশসহ নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা আমদানির ওপর নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা নিয়েছিল। এর ফলে এসব দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। তবে, এখন আন্তর্জাতিক লেনদেন ভারসাম্য পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এ কারণে এসব দেশ আমদানিতে নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা শিথিল করছে।
Advertisement
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আমদানি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বেশ কিছু খাদ্যপণ্য রপ্তানিতেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান।বর্তমানে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম কমলে এসব দেশ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখতে পারে।
দ্রুত মুদ্রানীতি থেকে নেতিবাচক প্রভাব, দুর্বল প্রবৃদ্ধি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এ ধাক্কাগুলোর সর্বোচ্চ প্রভাব দেখা যাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ায়। আঞ্চলিক অর্থনৈতিক অবস্থা কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে বাণিজ্যের শর্তগুলো বেশি হয়ে গেছে। ফলে অনেক দেশ বিপাকে পড়েছে।
এমওএস/এমএএইচ/এএসএম
Advertisement