গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এ দাবদাহে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। হিট স্ট্রোক হচ্ছে মূলত দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে সৃষ্টি হওয়া জটিলতা। এক্ষেত্রে শরীর একবারেই পানিশূন্য হয়ে পড়ে।
Advertisement
বিশেষ করে রোদে যারা দীর্ঘক্ষণ কাজ করেন; তাদের যেমন হিট স্ট্রোক হতে পারে। আবার বয়স্ক ও শিশুদেরও এমনটি হতে পারে। এছাড়া শরীরে পানিশূন্যতা ও বিভিন্ন ওষুধের কারণেও গরমে হিট স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: হিট স্ট্রোক হলে দ্রুত যা করবেন
হিট স্ট্রোক হলে মাংসপেশিতে ব্যথা হয়, শরীর দুর্বল লাগে ও সব সময় পিপাসা পায়। পরবর্তী সময়ে দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস, মাথাব্যথা, ঝিমঝিম করা, বমিভাব, অসংলগ্ন আচরণ ইত্যাদি দেখা দেয়। এছাড়া শরীরের তাপ বেড়ে যায় ও প্রচুর ঘাম ঝরে।
Advertisement
এজন্য এই গরমে হিট স্ট্রোক হওয়ার আগেই তা প্রতিরোধ করা জরুরি। ঘরোয়া উপায়েই কিন্তু হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। এজন্য পুষ্টিকর কিছু খাবার খাওয়া প্রয়োজন।
জেনে নিন গরমে হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে কোন কোন খাবার খাবেন-
বাটার মিল্ক
এটি যেমন আপনাকে ঠান্ডা করবে, ঠিক তেমনি শরীরে পুষ্টিও দেবে। বাটার মিল্কে থাকে প্রোবায়োটিক, প্রোটিন এবং ভিটামিন। যা আপনার দেশের তাপমাত্রাকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে।
Advertisement
আরও পড়ুন: গরমে হিট স্ট্রোকসহ যেসব রোগের ঝুঁকি বাড়ে
পেঁয়াজের রস
আয়ুর্বেদ অনুসারে, বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর সামান্য মধুর সঙ্গে পেঁয়াজের রস মিশিয়ে পান করার উপকারিতা অনেক। এতে দেহের তাপমাত্রা কমে যায়। একই সঙ্গে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমে যাবে।
তেঁতুলের রস
গরম কাটানোর জন্য তেঁতুল অনেক উপকারী। তেঁতুল দেহে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে ও পানিশূন্যতা রোধে সাহায্য করে।
এজন্য পানিতে কয়েকটি তেঁতুল সেদ্ধ করে সঙ্গে গুড় মিশিয়ে পান করুন। এতে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমবে। গরমে শরীরও থাকবে ঠান্ডা।
আরও পড়ুন: গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে যে সবজি খাবেন
আমের রস
বাজারে এখন কাঁচা আম সহজলভ্য। কাঁচা আমের জুস খেতে সবাই কম-বেশি পছন্দ করেন। কাঁচা আমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
গরমে হিট স্ট্রোক থেকেও রক্ষা করে কাঁচা আমে থাকা পুষ্টিগুণ। কাঁচা আম শরীরের তাপ কমাতে সাহায্য করে। স্বাস্থ্যকর এই পানীয় হাতাশা থেকেও মুক্তি দেয়। সেইসঙ্গে ডায়রিয়াও প্রতিরোধ করে।
আরও পড়ুন: পকেটে পেঁয়াজ রাখলেই হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমবে!
ছাতুর শরবত
ছাতু শরীরে শক্তির জোগান দেয়। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও ভালো ছাতু। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হওয়ায় রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণও থাকে নিয়ন্ত্রণে।
ছাতু খেলে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, জিংক ইত্যাদি খনিজের চাহিদাও পূরণ হয়ে যায়। হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে ও পেটের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায় ছাতু। গরমে ছাতু খেলে শরীর ঠান্ডা হয় ও পানিশূন্যতাও দূর হয়।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জেএমএস/জিকেএস