প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মূলত ছয় দফা থেকেই বাংলার মানুষের মধ্যে স্বাধীনতার উন্মেষ আরও জাগ্রত হয়। বুধবার (৭ জুন) জাতীয় সংসদে ঐতিহাসিক ছয় দফা নিয়ে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
Advertisement
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধের বিজয়, সবকিছু অর্জন শ্রমিক নেতা মনু মিয়াসহ শহীদদের রক্তের অক্ষরে লেখা। শহীদের রক্ত কখনো বৃথা যায় না, বৃথা যায়নি।
জাতীয় সংসদে এদিন পয়েন্ট অব অর্ডারে ছয় দফা দিবস নিয়ে আরও বক্তব্য রাখেন সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, সরকারি দলের সদস্য আমীর হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও আবুল কালাম আজাদ এবং জাতীয় পার্টির সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ।
এসময় মতিয়া চৌধুরী বলেন, ছয় দফার মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা ও মুক্তির মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন।
Advertisement
আমির হোসেন আমু বলেন, ছয় দফা বাঙালি জাতির মুক্তির প্রথম সোপান। এ ছয় দফার মাধ্যমেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ছয় দফা ঘোষণার পর বঙ্গবন্ধু সারাদেশে ছয় দফার পক্ষে জোয়ার তৈরি করেছিলেন। মানুষ বুঝেছিল বঙ্গবন্ধুই তাদের মুক্তিদাতা। মানুষ এ ছয় দফাকে তাদের মুক্তির সনদ, ‘ম্যাগনা কার্টা’ হিসেবে গ্রহণ করেছিল। ছয় দফার মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়েছিল।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ছয় দফার সিঁড়ি বেয়ে ধাপে ধাপে স্বাধীনতার পথে এগিয়েছে বাংলাদেশ। ছয় দফা ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের রিহার্সেল।
ইএ
Advertisement