তীব্র দাবদাহে মানুষ অতিষ্ঠ। প্রচণ্ড গরম থেকে বাঁচতে প্রয়োজন সজীব-কোমল বৃষ্টিস্নাত পরিবেশ। এ জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করার বিকল্প নেই। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে অনাবৃষ্টিতে অতিষ্ঠ হয়ে কিছু লোক নবিজির কাছে এসে কেঁদে দিলেন। তিনি তাদের জন্য দোয়া করলেন। অতপর তাদের ওপর আকাশ থেকে নেমে এলো প্রশান্তির বৃষ্টি। কী সেই দোয়া?
Advertisement
যতই বিদ্যুৎ থাকুক বা লোডশেডিং না থাকুক; আবহাওয়ার যে অবস্থা তাতে করে একমাত্র আল্লাহর কাছেই প্রশান্তি চাইতে হবে; তিনি ছাড়া কেউ এ জমিনকে প্রশান্তি দিতে পারবেন না। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এখন প্রয়োজন প্রচণ্ড বৃষ্টির। মহান আল্লাহই মানুষের জন্য প্রশান্তির বৃষ্টি দান করতে পারেন। আসুন, প্রচণ্ড গরম থেকে বাঁচতে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি।
হজরত জাবির ইবনু আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, একদিন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে কিছু লোক (বৃষ্টি না হওয়ায়) ক্রন্দনরত অবস্থায় এলেন। তিনি (তাদের জন্য এভাবে) দোয়া করলেন-
اللَّهُمَّ اسْقِنَا غَيْثًا مُغِيثًا مَرِيئًا نَافِعًا غَيْرَ ضَارٍّ عَاجِلاً غَيْرَ آجِلٍ
Advertisement
উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মাসক্বিনা গাইছান মুগিছান মারিআন নাফিআন গাইরা দাররিন আঝিলান গাইরা আঝিলিন।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমাদের বিলম্বে নয় বরং তাড়াতাড়ি ক্ষতিমুক্ত-কল্যাণময়, তৃপ্তিদায়ক, সজীবতা দানকারী, মুষল ধারায় বৃষ্টি বর্ষণ করো।’
বর্ণনাকারী বলেন, এরপর তাদের উপর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে যায় (এবং বৃষ্টি হয়)।’ (আবু দাউদ ১১৬৯, আবদ ইবনু হুসাইদ ১১২৫, ইবনু খুযাইমাহ ১৪১৬)
আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দার প্রতি রহমতের প্রশান্তি ও বৃষ্টি নাজিল করুন। ক্ষতিমুক্ত, কল্যাণময় ও তৃপ্তিদায়ক সজীব পরিবেশ দান করুন। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
Advertisement
এমএমএস/জিকেএস