কোরবানির ঈদে দেশি গরুর ব্যাপক চাহিদা থাকায় ঠাকুরগাঁওয়ে গরু পালনে ব্যস্ত প্রান্তিক কৃষক ও ছোট খামারিরা। কিছুটা বাড়তি লাভের আশায় ঈদকে সামনে রেখে শেষ সময়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গরু নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। কোনো প্রকার ক্ষতিকর ইনজেকশন ও ট্যাবলেট ব্যবহার না করেই দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করছেন এসব খামারি ও কৃষক।
Advertisement
জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্য মতে, জেলার পাঁচ উপজেলায় ৪ হাজার ৩১৭ জন পারিবারিক ও বাণিজ্যিকভাবে গবাদিপশু পালন করছেন। আর এ থেকে ৬৯ হাজার পশু উৎপাদিত হবে যা চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত।
খামারি শামীম মিয়া বলেন, আমি বহুদিন যাবত খামার করে আসছি। এ বছর ভালো করে প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমার খামারে এখন দেশি গরু ১০-১১টি রয়েছে। আমারা যারা ছোটখাটো খামারি তারা বেশি একটা লাভবান হতে পারি না, কারণ প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বেশি। বেশি দাম দিয়ে খাবার কিনে খাওয়ালে বেশি একটা লাভবান হওয়া যাবে না। আমরা প্রাকৃতিক সব খাবার খাওয়াচ্ছি।
অনন্যা ফার্মের স্বত্তাধিকারী হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ বলেন, চার মাস আগে মোটাতাজা করার জন্য আমি তিনটি গরু নিয়েছি। একেকটি গরু প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকায় কেনা। ঈদের আগে শেষ মুহূর্তে গরু মোটাতাজা করছি। যদি ভারতীয় গরু না আসে তাহলে আমরা একটু লাভবান হতে পারবো। সরকারের কাছে আবেদন ঈদের আগে যাতে ভারতীয় গরু বাংলাদেশে না ঢোকে।
Advertisement
আরেক খামারি সোহেল মাহমুদ বলেন, এ এলাকায় বেশিরভাগ খামারি দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করছেন। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে ঘাস-খড়ের পাশাপাশি খৈলগুঁড়া ও ভুসি খাওয়ানো হচ্ছে। গোখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে গরুতে লাভ কিছুটা কমে গেছে। গতবার চারটি গরু বিক্রি করে প্রায় ৫০ হাজার টাকা লাভ হয়েছিল। এ বছর কোরবানি উপলক্ষে সাতটি গরু পালন করছি। আশা করি এবারও ভালো দাম পাবো।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে ঠাকুরগাঁও জেলায় ৪ হাজার ৩১৭ জন পারিবারিক ও বাণিজ্যিকভাবে খামার পরিচালনা করছেন। এই খামারগুলোকে আমরা প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে ভ্যাকসিন এবং চিকিৎসা পরামর্শ দিয়ে থাকি।
এফএ/এএসএম
Advertisement