জাতীয়

ব্যাংক সিস্টেমে `ম্যালওয়ার` ব্যবহার করেছিল হ্যাকাররা

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে থাকা বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অর্থ লোপাটের ক্ষেত্রে হ্যাকাররা ম্যালওয়ার ব্যবহার করে ওই লেনদেনের ওপর নজর রাখছিল। বার্তা সংস্থা রয়টার্স দুজন ব্যাংক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্ভবত ওই হ্যাকাররা বাংলাদেশ ব্যাংকের কম্পিউটার সিস্টেমে ঢুকে কয়েক সপ্তাহ ধরে লেনদেন পর্যবেক্ষণ এবং কখন কীভাবে টাকা হাতিয়ে নেবে তার পরিকল্পনা করেছিল। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওই ম্যালওয়ারের কিছু নমুনা এবং ঠিক কীভাবে তা ব্যবহার করা হয়েছিল তা তারা বের করতে পারবেন বলে আশা করছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের কম্পিউটার সিস্টেমের নিরাপত্তা ভাঙার এক মাসেরও বেশি সময় পর হ্যাকাররা প্রায় ১০০ কোটি ডলার চুরি করার চেষ্টা করে। যা নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে তাদের একাউন্টে রাখা ছিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে ব্যাংকের কেউ জড়িত ছিল এমন প্রমাণ তারা এখনো পাননি, তবে ব্যাংকিং এর সাথে ঘনিষ্ঠ কেউ হয়তো এতে সহায়তা করেছে অথবা তারা ব্যাংক কর্মীদের ওপর নজরদারি করে তথ্য সংগ্রহ করেছে।বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে স্বীকার করেছেন, তাদের কম্পিউটার সিস্টেমে দুর্বলতা ছিল এবং এ সমস্যা পুরোপুরি ঠিক করতে দু বছর বা তারও বেশি সময় লাগতে পারে।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ দুই কর্মকর্তা বলেন, হ্যাকাররা বাংলাদেশ ব্যাংকের সিস্টেমে ঢুকে পেমেন্ট ট্রান্সফারের ক্রেডেনশিয়াল চুরি করে। এরপর সুইফট (কোনো ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে অর্থ স্থানান্তরের জন্য গোপন সঙ্কেতলিপির ব্যবহার) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই অর্থ স্থানান্তর করা হয়েছে। মেসেজের মাধ্যমে নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভকে অর্থ স্থানান্তরের অনুরোধ পাঠানো হয়। তবে এতে মূল বার্তা বিনিময় ব্যবস্থার কোন ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে বেলজিয়াম ভিত্তিক সুইফট কর্তৃপক্ষ।এসআইএস/এবিএস

Advertisement