ভারতের মাটিতে টি-টোয়েন্টি রান ওঠে- এ কথাটাকে আবারও যেন সত্যি প্রমাণ করলো আফগানিস্তান। নাগপুরের বিদর্ভ স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের সামনে এক সময় রানের জন্য ধুঁকছিল তারা। ১৫ ওভারে যেখানে রান ছিল ১০৯, শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে সেখানে আফগানদের রান গিয়ে দাঁড়াল ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৬-তে। অথ্যাৎ শেষ ৫ ওভারে ৭৭ রান তুলেছে মোহাম্মদ নবি আর সামিউল্লাগহ সেনওয়ারিরা।মোহাম্মদ নবি ৩২ বলে করেন ৫২ রান। সামিউল্লাহ সেনওয়ারি করেন ৪৩ এবং মোহাম্মদ শাহজাদ করেন ৪০ রান। অতিরিক্ত থেকে আসে ২১ রান। জিম্বাবুয়ের তিনাশে পানিয়াঙ্গারা ৩২ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। তিরিপানো এবং শন উইলিয়ামস নেন ১টি করে উইকেট। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৪ ওভার ৪ বলে ৪৯ রান তুলে ফেলেছিল আফগানিস্তানের দুই ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ এবং নূর আলী জাদরান। দু’জনের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের সামনে ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। এ সময় আফ্রিকান দলটিকে খেলায় ফেরালেন শন উেইলিয়ামস এবং তিনাশে পানিয়াঙ্গারা। পাঁচ বলের ব্যবধানে দুই উইকেট তুলে নিয়ে দারুনভাবে ঘুরে দাঁড়ায় জিম্বাবুয়ে।পঞ্চম ওভারে উইলিয়ামস আউট করেন শাহজাদকে। ২৩ বলে ৭টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৪০ রান করেন তিনি। এর পরের ওভারে আসগার স্তানিকজাইকে রানের খাতা খোলার আগেই ফেরান পানিয়াঙ্গারা।আক্রমণের ধার দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে দিয়েও থামেনি। এরপরও চলেছে জিম্বাবুয়ে বোলারদের আঘাত। যাতে বিপজ্জস্ত হয়ে পড়ে আফগান ব্যাটিং লাইনআপ। ৪৯ থেকে ৬৩- এই ১৪ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে আফগানরা। অধিনায়ক আসগর স্টানিকজাই শূন্য রানে এবং ৭ রান করে আউট হন গুলবদিন নাইব। তবে এরপরই ঘুরে দাঁড়িয়েছে আফগানরা। ৫ম উইকেট জুটিতে সামিউল্লাহ সেনওয়ারি এবং মোহাম্মদ নবি গড়েন ৯৮ রানের বিশাল এক জুটি। ৬৪ বলে এই জুটিই আফগানদের বিশাল সংগ্রহ এনে দেয়। ৩৭ বলে ৪৩ রান করে সেনওয়ারি আউট হয়ে গেলেও মোহাম্মদ নবি তার তাণ্ডব অব্যাহত রাখেন। ৩২ বলে ৫২ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে আফগানিস্তান। দুই ম্যাচে উভয় দলের পয়েন্ট সমান ৪ হওয়ায় এ ম্যাচের জয়ী দল খেলবে বিশ্বকাপের মূল পর্ব।আইএইচএস/আরআইপি
Advertisement