কসোভোয় ন্যাটোর সেনা কেফোরের সঙ্গে সার্বিয়ান জনগোষ্ঠীর সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। এখন অস্থিরতা নিরসনে উত্তর সার্বিয়ান অধ্যুষিত চারটি পৌরসভায় নতুন করে নির্বাচন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কসোভোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডনিকা গারভাল্লা শোয়ার্জ।
Advertisement
মঙ্গলবার (৬ জুন) চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগে চেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কসোভান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেসময় তিনি বলেন, আমরা ওই চার পৌরসভায় পুনরায় নির্বাচন করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি। তবে তার আগে অন্যান্য পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। নতুন নির্বাচন দেওয়ার প্রথম শর্ত হলো সহিংসতা বন্ধ করা।
আরও পড়ুন: কসোভোয় সার্বিয়ান বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ২৫ ন্যাটো সেনা আহত
ডনিকা গারভাল্লা বলেন, সার্বিয়ার কাছ থেকে কসোভোরও একটি প্রতিশ্রুতি পাওয়া প্রয়োজন। সেটি হলো, তারা আর কসোভোর সার্বিয়ান নাগরিকদের নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার জন্য হুমকি দেবে না।
Advertisement
ইউরোপের ক্ষুদ্র মুসলিম দেশ কসোভোর মোট জনসংখ্যার ৯০ শতাংশের বেশি আলবেনীয় জাতিগোষ্ঠীর। জনসংখ্যার পাঁচ শতাংশ সার্বিয়ান গোষ্ঠীর অধিকাংশেরই বাস সার্বিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী অঞ্চলে। তবে তারা কসোভোর কেন্দ্রীয় সরকারের আইনসহ কোনো আইন মানতে চান না।
শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ সবক্ষেত্রে আলবেনীয়রা বেশি সুবিধা ভোগ করছে অভিযোগ তুলে এপ্রিলের স্থানীয় নির্বাচন বর্জন করে সার্বিয়ানদের অধিকাংশ। আলবেনীয়দের অভিযোগ, নির্বাচনে জিতে সীমান্তবর্তী অঞ্চলটিকে সার্বিয়ার স্যাটেলাইট স্টেটে পরিণত করতে পারে সার্বিয়ানরা।
আরও পড়ুন: দ্বন্দ্ব নিরসনে ‘ফলপ্রসূ’ আলোচনায় চীন-যুক্তরাষ্ট্র
অঞ্চলটিতে সম্প্রতি চারজন আলবেনীয় মেয়র দায়িত্ব নেওয়ার পর সংঘাতের সূত্রপাত হয়। ২৬ মে থেকে তা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। সার্বিয়ান অধ্যুষিত ভেকান শহরে সরকারি ভবনের বাইরে সংঘর্ষে আহত হয় ডজনখানেক মানুষ। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস ও বন্দুক ব্যবহার করে পুলিশ।
Advertisement
এ ঘটনায় নিজেদের পক্ষ নিয়ে যেকোনো অপ্রীতিকর অবস্থা রুখতে সীমান্তে সেনা মোতায়েন করে সার্বিয়া। অন্যদিকে, সার্বিয়ানদের উপর বলপ্রয়োগের নিন্দা জানায় যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে উত্তেজনা প্রশমনে ন্যাটো সেনা মোতায়েন করা হয়।
আরও পড়ুন: নিজেদের তৈরি প্রথম হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করলো ইরান
গত সপ্তাহে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এক সহযোগী কসোভান প্রধানমন্ত্রী আলবিন কুর্তি ও সার্বিয়ার রাষ্ট্রপতি আলেকসান্ডার ভুসিকের সঙ্গে কথা বলেছেন। সেসময় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সার্বিয়াকে সীমান্তের কাছে অবস্থানরত সশস্ত্র বাহিনী প্রত্যাহার করতে ও বিক্ষোভকারীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানান।
সূত্র: আল জাজিরা
এসএএইচ