ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে করা মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তথ্য-প্রমাণ ছাড়া মামলা করায় বাদী কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের ঢাকা জেলার শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) মো. মাসুদ আলমকে সতর্ক করা হয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার (৬ জুন) দুপুরে প্রথম শ্রম জজ আদালতে মামলাটির শুনানি হয়। এদিন শুনানিতে মামলার বাদী উপস্থিত হয়ে আদালতের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬, ধারা ৩০৩(৫) এবং ৩০৭ মোতাবেক ২০২১ সালে প্রথম শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের ঢাকা জেলার শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) মো. মাসুদ আলম বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
ফৌজদারি এ মামলায় সাঈদ খোকন ছাড়াও জেরাল্ড রেবেরো ও তৌতম ব্রামা নামে আরও দুজনকে বিবাদী করা হয়। জেরাল্ড রেবেরো ও তৌতম ব্রামা সাঈদ খোকনের ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মী।
Advertisement
আরও পড়ুন: সাঈদ খোকনের নামে মামলা, বাদীকে শোকজ আদালতের
এদিন আদালতের চেয়ারম্যান মো. শওকত আলী বিবাদী সাঈদ খোকনের নামে করা মামলার শুনানি গ্রহণ করেন। পরে আদালত বাদীকে তথ্য-প্রমাণ ছাড়া মামলা করায় মামলা খারিজ করে আদেশ দেন। একই সঙ্গে এ বিষয়ে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরকে সতর্ক হওয়ার নির্দেশনা দেন।
মামলার এজহারে বলা হয়, মামলাটির বাদী ২০২১ সালের ২২ নভেম্বর গুলশান-২ এর ১০৪ নম্বর রোডের হোটেল লং বিচ পরিদর্শন করেন। তখন তিনি বাংলাদেশ শ্রম আইন মোতাবেক শ্রমিকদের জন্য সার্ভিস বইয়ের ব্যবস্থা না থাকা, নির্ধারিত তথ্য সম্বলিত শ্রমিক রেজিস্টার সংরক্ষণ না করা, শ্রমিক বা কর্মচারীদের আইন মোতাবেক ছুটি না দেওয়া এবং রেজিস্টার সংরক্ষণ না করাসহ বিভিন্ন অনিয়ম দেখেন। পরে লং বিচ কর্তৃপক্ষকে রেজিস্টার্ড ডাকে তাগিদপত্র পাঠান।
এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬, ধারা ৩০৩(৫) এবং ৩০৭ মোতাবেক প্রথম শ্রম আদালতে মামলা করেন মাসুদ আলম। তিনি এ মামলায় লং বিচ হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, ব্যবস্থাপক জেরাল্ড রেবেরো, সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে তৌতম ব্রামার নাম উল্লেখ করেন।
Advertisement
আরও পড়ুন: সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে ‘নিরপেক্ষ’ সাক্ষী পায়নি পিবিআই
প্রথম শ্রম আদালত সূত্র জানায়, এর আগে গত ২৯ মে বিবাদীদের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ ছাড়া মামলা করায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরকে কারণ দর্শানোর আদেশ দেন প্রথম শ্রম জজ আদালতের চেয়ারম্যান শওকত আলী।
সাঈদ খোকনের পক্ষে বিবাদীদের আইনজীবী সেলিম আহসান খান বলেন, মামলায় লং বিচ হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে সাঈদ খোকনের নাম দেওয়া হয়েছে। সেটির মালিকানা বা পরিচালনার সঙ্গে তিনি জড়িত নন। তাকে হয়রানির উদ্দেশেই এ মামলা করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এটি একটি হয়রানিমূলক মামলা। মামলাটির সঙ্গে তার কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই। তাই আদালত আমাদের শুনানি গ্রহণ করে বাদীকে সর্তক করেছেন।
এমএমএ/এমকেআর/এএসএম