টেপ টেনিস দিয়ে হাতেখড়ি। হঠাৎই সুযোগ এসে যায় লালমনিরহাট দ্বিতীয় বিভাগে খেলার। সেখানে এক লিগ ম্যাচে জোরে বল করে উইকেট ভেঙে হৈ চৈ ফেলে দেন। সবাই জেনে যান, মুশফিক হাসান নামের লম্বা সুঠামদেহী ছেলেটা বেশ জোরে বল করতে পারে। সেখানেই নজর পড়ে বিভাগীয় কোচের। তার হাত ধরেই জেলা পর্যায়ে অনূর্ধ্ব-১৬ দলে ডাক পাওয়া।
Advertisement
এরপর বিভাগীয় পর্যায়ে অনূর্ধ্ব-১৮ দলে ঢুকে পড়েন। সেখানেই জাতীয় দলের সাবেক পেসার হাসিবুল হোসেন শান্তর নজরে পড়েন মুশফিক হাসান। শান্তই তাকে অনূর্ধ্ব- ১৯ দলে ট্রায়ালে নিয়ে যান। সেই ট্রায়ালে সবার চেয়ে জোরে বল করে নজর কাড়েন মুশফিক।
এরপর ধীরে ধীরে সামনে এগিয়ে চলা। এবার প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডানে যোগ দেওয়া এবং বল হাতে মোটামুটি ভালো পারফরম্যান্সও (৯ খেলায় ১০ উইকেট) মুশফিককে এগিয়ে দেয়। এইচপি, ‘এ’ দল পার হয়ে অবশেষে ঢুকে পড়লেন জাতীয় দলেও। খুব স্বচ্ছল পরিবার থেকে উঠে আসেননি ২০ বছরের এ যুবা। বাবা-মার সান্নিধ্য মেলেনি মাঝে কিছুদিন। নানির কাছে মুশফিক ও তার ছোট বোনকে রেখে বাবা-মা ঢাকায় এসে গার্মেন্টসে কাজ নেন।
পড়াশোনার পাশাপাশি মুশফিকের ক্রিকেটচর্চাও চলতে থাকে। পাড়ার বড় ভাইরাও অনুপ্রেরণা জোগাতেন। কিন্তু আসল সাহসটা দিয়েছেন নানি। নানির একটাই কথা ছিল-ক্রিকেট খেলবি, মন দিয়ে খেলবি।
Advertisement
তাই মুশফিকের ক্রিকেটার হবার পিছনে তার নানির অবদান অনেক। এই পেসারের ভাষায়, ‘আমি ভালো করলে নানিই সবচেয়ে বেশি খুশি হতেন। তিনিই আমার সাহস বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। আমার ক্রিকেটার হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান তারই। বাবা-মার কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া, মাঠে পাঠানো সব নানিই করেছেন।’
এআরবি/এমএমআর/এমএস