তার ক্রিকেটার হওয়ার গল্পটা ঠিক অন্য আট-দশজনের মতো না। অনেক কষ্ট করে ঘাম ঝরিয়ে আজকের শাহাদাত হোসেন দিপু। ছেলেবেলায় বাবাকে হারিয়েছেন। যখন পিতৃহারা হন, তখন ঠিক বোঝার বয়স ছিল না। বড় ভাই এগিয়ে নিয়েছেন।
Advertisement
কেমন ছিল সেই দিনগুলো? টেস্ট দলে ডাক পাওয়ার পর সে কঠিন সময়ের স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে শাহাদাত দিপু বলেন, ‘আমার বাবা যখন মারা গেছে, তখন আমি ছোট ছিলাম। ওইরকমভাবে বুঝতে পারি নাই বিষয়টা। আস্তে আস্তে যখন বড় হচ্ছিলাম, আমার বড় ভাই আমাকে সাহায্য করেছে। এবং সুদীপ্ত ভাই ছিল, সে ক্রিকেটে অনেক হেল্প করেছে। জিনিসপত্র থেকে শুরু করে সবকিছু দিয়ে আরকি! ওইভাবেই আসলে ওইখান থেকে আস্তে ধীরে আগানো।’
তার আগে বিশ্বকাপজয়ী যুব দলের অনেকে খেলে ফেলেছেন জাতীয় দলে। তিনি ডাক পাচ্ছিলেন না। তা নিয়ে কোন আফসোস-হতাশা ছিল কী? দিপুর জবাব, ‘ওইসব ব্যাপার নিয়ে আমি কোনোদিন চিন্তা করি নাই। চিন্তা করেছি, যখনই আমাকে ডাকবে খেলার জন্য প্রস্তুত থাকব।’
নিজের স্কিলের ওপর বিশ্বাস ও আস্থা আছে দিপুর। তার কথা, ‘স্কিলটা ভালো, সেটা সবাই বলে। আর আসলে আমি ফিল করি, জাতীয় দলের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার জন্য মেন্টালি আরও স্ট্রং হওয়া দরকার।’
Advertisement
সম্প্রতি ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে খেলেছেন। ঘরোয়া ক্রিকেট আর ‘এ’ দলের পার্থক্য কতটা? এ বিষয়ে দিপুর মূল্যায়ন, ‘ইন্টারন্যাশনাল লেভেলের ক্রিকেটাররা বিশেষ করে বোলাররা একটু ডিফিকাল্ট থাকে অবশ্যই। ভালো এক্সপেরিয়েন্স থাকে। যারা 'এ' টিমে খেলে। ইন্ডিয়ার মোটামুটি ভালো বোলাররাই খেলেছে। ওদের স্কিল খুব ভালো থাকে। ওরা একটু চ্যালেঞ্জিং থাকে।’
‘মেন্টালি অনেক স্ট্রং থাকতে হয় আমি যেটা মনে করি। এটা যদি অ্যাডজাস্ট করা যায়, তাহলে ভালো। উইন্ডিজ বোলাররা অ্যাগ্রেসিভ, খেলেছি আগেও। আমাদের তাসকিন ভাই, এবাদত ভাইরা ওইরকম পেসেই বল করে। এবার প্রিমিয়ার লিগে খেলা হয়েছে। ওইরকম ডিফিকাল্ট লাগে নাই। জাস্ট এনজয় করছি খেলাটাকে।’
দিপু জানালেন, দলের সবাই তাকে স্বাগত জানিয়েছে। তাকে নিয়ে মাঝে কিছুদিন কাজ করেছেন জেমি সিডন্স। সিডন্সের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে দিপু কৃতজ্ঞতার সুরে বলেন, ‘আজ সকালেও কথা হচ্ছিল। ও (জেমি) খুব খুশি। ও হয়তো জানতো না। হঠাৎ যখন শুনেছে তখন খুব খুশি হয়েছে। স্কিল অনুযায়ী স্পিনে কিভাবে খেলতে হবে বা পেস বোলিং কিভাবে খেলতে হবে, কিছু কিছু জিনিস কাজ করিয়েছে। ওগুলো নিজের মধ্যে অ্যাডাপ্ট করার ট্রাই করেছি।’
এআরবি/এমএমআর/জেআইএম
Advertisement