ভারতের উড়িষ্যার বালেশ্বরে করমন্ডল এক্সপ্রেসের ভয়াবহ দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে একই পরিবারের তরতাজা তিন যুবকের প্রাণ। এই দুর্ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ২৪ পরগনা জেলার শুধুমাত্র বাসন্তীতেই পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে একই পরিবারের তিন সদস্যের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
Advertisement
নিহতরা হলেন, হারান গায়েন, নিশিকান্ত গায়েন ও দিবাকর গায়েন। তাদের বাড়ি বাসন্তীর উত্তর মোকামবেড়িয়া গ্ৰাম পঞ্চায়েতের ছড়ানেখালি গ্ৰামে।
জানা গেছে, এই তিন ভাই দিনমজুরের কাজ করতেন। তারা বাড়তি উপার্জনের আশায় অন্ধ্রপ্রদেশে ধান কাটার কাজ করতে যাচ্ছিলেন। এর আগেও একাধিকবার সেখানে গিয়েছেন তারা। শুক্রবারের তাদের বহনকারী ট্রেন করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দুর্ঘটনার পর ট্রেনের কামরা থেকে ওই তিন ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: মাথা বিচ্ছিন্ন-মুখ পুড়ে গেছে, মরদেহ শনাক্ত করা যাচ্ছে না
Advertisement
এই তিনজনের স্ত্রী, ছোট ছোট সন্তানদের কি হবে তা নিয়েই এখন চিন্তায় পড়েছেন স্বজনরা। তারাই ছিলেন পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তাদের স্বজন বাবলু নস্কর জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় শেষবারের মতো কথা হয় তাদের সঙ্গে।
রাতে যখন ওই ট্রেন দুর্ঘটনার খবর এলো, তখন থেকেই আমরা সবাই আশঙ্কায় ছিলাম। আর যা আশঙ্কা করেছিলাম ঠিক সেই খবরই এলো। তিন ভাইয়ের কেউ এই মুহূর্ত বেঁচে নেই। ঘটনাস্থল থেকেই তাদের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
কোন ক্ষতিপূরণ দক্ষিণ২৪ পরগনা জেলার বাসন্তীর এই গায়েন পরিবারের তিন ছেলেকে হারানোর শোক ভোলাতে পারবে না। এই তিনজন ছাড়াও বাসন্তীর ছড়ানেখালি গ্ৰামে আরো দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের নাম বিকাশ হালদার এবং সঞ্জয় হালদার।
আরও পড়ুন: ভারতের ট্রেন দুর্ঘটনায় জো বাইডেনের দুঃখ প্রকাশ
Advertisement
উল্লেখ্য, স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উড়িষ্যার বালেশ্বরের ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে। বালেশ্বেরের বাহানগা স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ২১টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে বহু মানুষ প্রাণ হারায়। শনিবার সন্ধ্যায় রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, ওই দুর্ঘটনায় ২৮৮ জন নিহত হয়েছে। আহতের সংখ্যা আটশোরও বেশি।
টিটিএন