আন্তর্জাতিক

বিশ্বভারতীর অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। অমর্ত্য সেনের সঙ্গে জমি নিয়ে আইনি লড়াই চলার মধ্যেই নারী গবেষকের শ্লীলতাহানি ও তাকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় আরও বিতর্কে জড়িয়েছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়।

Advertisement

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টা ছাড়াও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগও করা হয়েছে।

আরও পড়ুন>মাথা বিচ্ছিন্ন-মুখ পুড়ে গেছে, মরদেহ শনাক্ত করা যাচ্ছে না

অভিযুক্ত অধ্যাপককে এরই মধ্যে বোলপুর শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় সংবিধানের একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে।

Advertisement

জানা গেছে, ২০১৬ সালে শিক্ষা বিভাগে গবেষণা শুরু করেন ওই ছাত্রী। তারপর থেকে তাকে লাগাতার কু-প্রস্তাব দিতে থাকেন অভিযুক্ত অধ্যাপক।

ওই ছাত্রী আরও অভিযোগ করেন, গবেষণাপত্রে সই করার নাম করে অধ্যাপক তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।

আরও পড়ুন>নিউইয়র্কে বাংলাদেশি রেস্তোরাঁয় বন্দুক হামলা, আহত ১

এই বিষয়ে বিভাগীয় প্রধানসহ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগও জানিয়েছিলেন ছাত্রী। ওই অভিযোগ জমা দিলেও বিশেষ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

কোনো উপায় না দেখে, শেষ পর্যন্ত বোলপুর শান্তিনিকেতন থানার দারস্থ হন নির্যাতিতা। অধ্যাপকের বিরুদ্ধে লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেন।

এরপরে অভিযুক্ত অধ্যাপককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪, ৩৫৪এ, ৩৫৪বি, ৩৫৪ডি, ৫০৬, ৫০৯, ৩৭৬, ৫১১, ৫০০ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

এই ঘটনায় শোরগোল শুরু হয়েছে কবিগুরুর স্মৃতি বিজড়িত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ জানানোর পরেও কেন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হলো না সে প্রশ্নও ঘুরছে অনেকের মনে।

ডিডি/এমএসএম