বারডেম জেনারেল হাসপাতালে ব্র্যাকের কৃত্রিম হাত-পা সংযোজন সেবাকেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (৩ জুন) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কেন্দ্রটির উদ্বোধন করা হয়। শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহের ছয়দিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সেবা পাবেন রোগীরা।
Advertisement
বারডেমের মূল হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ব্র্যাকের আর্টিফিশিয়াল লিম্ব ও ব্রেস সেন্টারটি স্থাপন করায় বারডেম মহাপরিচালক কে আই কাইয়ুম চৌধুরী আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, এখন থেকে হাসপাতালে আগত রোগীরা এ কেন্দ্রে সহজে এসব সেবা পাবেন। আমরা এখন একটি কেন্দ্র স্থাপন করেছি। ভবিষ্যতে আমাদের পরিকল্পনা আছে এখানে একটি পূর্ণাঙ্গ কৃত্রিম হাত-পা তৈরির ওয়ার্কশপ চালু করার। ভবিষ্যতে ব্র্যাকের সঙ্গে আমাদের যৌথ কার্যক্রম আরও জোরদার হবে, বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ব্র্যাকের স্বাস্থ্য পুষ্টি ও জনসংখ্যা কর্মসূচি (এইচএনপিপি) পরিচালক ডা. মোরশেদা চৌধুরী সংস্থাটির স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচির একটি রূপরেখা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ২০২১-এর ডিসেম্বরের আগে পর্যন্ত ব্র্যাক নিজস্ব কেন্দ্র থেকে কৃত্রিম হাত-পা সম্পর্কিত সেবা দিত। এরপর আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই সেবা দিতে শুরু করি। এ ক্ষেত্রে আমাদের প্রথম উদ্যোগটি ছিল শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির সঙ্গে। কেন্দ্রটি এরই মধ্যে রোগীর মানসম্মত সেবাদানে নিজেদের দক্ষতা ও কার্যকারিতা প্রমাণ করেছে। ভবিষ্যতে সরকারের সঙ্গে আমাদের যৌথ উদ্যোগ আরও সম্প্রসারিত হবে বলে আশা করছি।
ব্র্যাক ও শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির যৌথ উদ্যোগে আর্টিফিশিয়াল লিম্ব অ্যান্ড ব্রেস সেন্টারটি ইনস্টিটিউট চত্বরে স্থাপিত হয় ২০২১ সালের ডিসেম্বরে। এখানে অগ্নিকাণ্ডের শিকার রোগীদের মানসম্মত কৃত্রিম হাত-পা সংযোজনসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সেবা দেওয়া হয়। ২০০০ সালে স্থাপিত ব্র্যাক লিঙ্ক অ্যান্ড ব্রেস সেন্টার (বিএলবিসি) এ পর্যন্ত ২০১৩ সালে সাভারের কারখানা ধ্বসে আহত অনেক শ্রমিক এবং গত বছর সীতাকুণ্ডে কন্টেনার ডিপোয় অগ্নিকাণ্ডে আহতদেরসহ ৪৩ হাজারেরও বেশি রোগীকে সেবা প্রদান করেছে।
Advertisement
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এইচএনপিপির প্রোগ্রাম হেড ও ব্র্যাক লিম্ন অ্যান্ড ব্রেস সেন্টার (বিএলবিসি)-র প্রধান ডা. শাহীনুল হক রিপন, বারডেম জেনারেল হাসপাতাল ও ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজের অর্থোপেডিকস বিভাগের প্রধান ডা. জোনায়েদ হাকিম ও বারডেমের বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞরা।
এএএম/এমআইএইচএস/জেআইএম