খেলাধুলা

আগামী জানুয়ারিতেই টেস্টকে বিদায় ওয়ার্নারের

টেস্টকে বিদায় জানাবেন আগেই জানিয়ে রেখেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। এবার তিনি দিনক্ষণও জানিয়ে দিয়েছেন। বলে দিয়েছেন, আগামী জানুয়ারিতে সিডনিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট খেলেই লঙ্কার ভার্সনকে বিদায় জানাবেন অস্ট্রেলিয়ান এই ব্যাটার।

Advertisement

৭ জুন থেকে শুরু হবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। তার আগে বেকেনহ্যামে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি আশা প্রকাশ করেন, জানুয়ারিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডেই খেলবেন ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট।

পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে রয়েছে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। ওই দুই টেস্টে খেলতে চান না ৩৬ বছর বয়সী এই তারকা। তার প্রত্যাশা, ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সাদা বলের ক্রিকেট খেলা চালিয়ে যাওয়া। প্রসঙ্গতঃ ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার কথা ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। শনিবার ওয়ার্নার বলেছেন, ‘রান করে যেতে হবে। আমি সব সময়ে বলেছি (২০২৪) বিশ্বকাপ সম্ভবত আমার চূড়ান্ত টুর্নামেন্ট হবে।’

তিনি যোগ করেছেন, ‘আমি সম্ভবত নিজের এবং আমার পরিবারের কাছে ঋণী- যদি আমি এখানে রান করতে পারি এবং অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে খেলা চালিয়ে যেতে পারি - আমি অবশ্যই বলতে পারি যে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ খেলব না। যদি আমি এর মধ্য দিয়ে যেতে পারি (বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল এবং পরবর্তী অ্যাশেজ অভিযান) এবং পাকিস্তান সিরিজে খেলতে পারি, তা হলে আমি তখনই টেস্ট ক্যারিয়ারে ইতি টানব।’

Advertisement

দেশের হয়ে ১০৩টি টেস্ট খেলে ৮১৫৮ রান করেছেন ওয়ার্নার। ২০১১ সালের ডিসেম্বরে টেস্টে অভিষেক হয় তার। এমনও শোনা যাচ্ছে, চলতি বছর বিশ্বকাপের পর ওয়ানডে থেকেও অবসর নিয়ে, শুধু টি-টোয়েন্টিতে মনোনিবেশ করতে চান ৩৬ বছর বয়সী ওয়ার্নার। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর হয়তো সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে চলেছেন তিনি।

এর মধ্যেই আবার ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কর্তাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ওয়ার্নার। বহুদিন ধরেই অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্ব নিয়ে সরব ছিলেন তিনি। স্টিভেন স্মিথকে নতুন করে অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হলেও, ওয়ার্নারের নাম বিবেচনা করছেন না অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট কর্তারা। আর এটাই বাঁ-হাতি এই ওপেনারের ক্ষোভের কারণ।

অস্ট্রেলিয়ার একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওয়ার্নার বলেছেন, ‘পুরো বিষয়টাই হাস্যকর। আমি চেয়েছিলাম একটা সমাধানের পথ খুঁজতে। আর কর্তারা উত্তর না দিয়ে সমানে বিষয়টা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। কেউ কথা বলতেই চাননি। দায়িত্ব নিতে চাননি। সিদ্ধান্ত নিতে চাননি। এমন একটা প্রশাসন যেখানে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো কেউ নেই।’

আইএইচএস/

Advertisement