ভারতের উড়িষ্যায় ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৮৮ জনে দাঁড়িয়েছে। তিনটি ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ৮০৩ জন। গত ২০ বছরের মধ্যে এটি ভারতের সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী ট্রেন দুর্ঘটনা। খবর এনটিভির।
Advertisement
এদিকে উড়িষ্যার ট্রেন দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে তিনি বলেছেন, এ ঘটনায় দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন>ট্রেন দুর্ঘটনা: দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি মোদীর
নরেন্দ্র মোদী বলেন, মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় যারা পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছে তাদের পাশে রয়েছে সরকার।
Advertisement
তবে কীভাবে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটলো তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সর্বত্র। এটি নিছক যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে হয়েছে নাকি মানুষের ভুলে। এমন প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে সবার মনে।
অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন কীভাবে করমন্ডল শালিমার এক্সপ্রেস স্থির পণ্যবাহী ট্রেনের লাইনে চলে গেলো। এক্ষেত্রে সংকেতজনিত ভুল ছিল বলে মনে করছেন অনেকে।
আরও পড়ুন>যান্ত্রিক ত্রুটি নাকি মানুষের ভুল, উঠেছে প্রশ্ন
স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে। বিকেল সোয়া ৩টা নাগাদ হাওড়ার অদূরে শালিমার স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করেছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। প্রায় চার ঘণ্টা পরে উড়িষ্যার বালেশ্বরের বাহানগা বাজারের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ২৩ বগির ট্রেনটি।
Advertisement
স্থানীয় সূত্র বলছে, প্রথমে করমণ্ডল এক্সপ্রেসই তীব্র গতিতে গিয়ে ধাক্কা মারে একই লাইনে আগে থেকে চলতে থাকা একটি মালগাড়ির পেছনে। আঘাতে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন মালগাড়ির ওপরে উঠে যায়। ২৩টি বগির মধ্যে ১৫টি বগি লাইন থেকে ছিটকে পাশের ডাউন লাইনে ও নর্দমার মধ্যে গিয়ে পড়ে। তখন পাশের সেই লাইন দিয়ে আসছিল বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস।
করমণ্ডল এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুত যেসব বগি ডাউন লাইনের ওপর পড়েছিল, সেগুলোতে গিয়ে ধাক্কা মারে সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। এতে হাওড়াগামী সেই ট্রেনটিরও দু’টি বগি লাইনচ্যুত হয়।
এমএসএম