উড়িষ্যায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ভারতজুড়ে শোকেরছায়া নেমেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৬১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে সৌভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে গেছেন অনেক যাত্রী। জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার লোমহর্ষক ঘটনা।
Advertisement
দৈনিক মজুরিভিত্তিতে কাজ করেন সঞ্জয় মুখিয়া। ছিলেন করমন্ডল-শালিমার এক্সপ্রেসের যাত্রী। যখন প্রচণ্ড ঝাঁকুনি অনুভব করলেন তখন তিনি টয়লেটে ছিলেন।
আরও পড়ুন>যান্ত্রিক ত্রুটি নাকি মানুষের ভুল, উঠেছে প্রশ্ন
শরীরের ক্ষত দেখিয়ে বিহারের বাসিন্দা মুখিয়া বলেন, সবকিছু কাঁপছিল এবং আমরা অনুভব করতে পারছিলাম বগি উল্টে যাচ্ছে।
Advertisement
ঘটনার পরে তাকে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়।
বেঁচে যাওয়া অন্য এক যাত্রী জানান, ট্রেন যখন লাইনচ্যুত হয় তখন আমি ঘুমাচ্ছিলাম। হঠাৎ ১০ থেকে ১২ জন আমার শরীরের ওপর এসে পড়ে। বগির বাইরে এসে দেখি ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন দেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন>ঘটনাস্থলে যাবেন নরেন্দ্র মোদী, উড়িষ্যায় এক দিনের শোক
এদিকে কীভাবে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটলো তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সর্বত্র। এটি নিছক যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে হয়েছে নাকি মানুষের ভুলে। এমন প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে সবার মনে।
Advertisement
অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন কীভাবে করমন্ডল শালিমার এক্সপ্রেস স্থির পণ্যবাহী ট্রেনের লাইনে চলে গেলো। এক্ষেত্রে সংকেতজনিত ভুল ছিল বলে মনে করছেন অনেকে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করমন্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনটি দুর্ঘটনার আগে ভুল লাইনে প্রবেশ করে।
এমএসএম