হিমায়িত ও প্রক্রিয়াজাত মাছ আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের যুক্তি নেই বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। শনিবার (৩ জুন) রাজধানীর মতিঝিলের এফবিসিসিআই আইকনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
Advertisement
জসিম উদ্দিন বলেন, প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে অনুৎপাদনশীল এবং অপ্রয়োজনীয় খাতে খরচ কমানোর পাশাপাশি বিলাসী ও অপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি নিয়ন্ত্রণে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতি আরও শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন। সরকারি ব্যয় তদারকি করার জন্য আইএমইডি বিভাগকে আরও শক্তিশালী করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, জীবনযাত্রার ব্যয় এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় এনে ব্যক্তি শ্রেণির আয়করের সীমা বর্তমান ৩ লাখ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে সাড়ে ৩ লাখ করা হয়েছে। বর্তমান মূল্যস্ফীতি বিবেনায় এ করমুক্ত সীমা ৪ লাখ টাকা করার জন্য আমরা প্রস্তাব করেছিলাম। বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য সুপারিশ করছি।
এফবিসিসিআই সভাপতি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, হাতে তৈরি বিস্কুট-কেক ভ্যাট অব্যাহতি সীমা বহাল রাখা, অপটিক্যাল ফাইবার কেবল উৎপাদনে ভ্যাট অব্যাহতি, কনটেইনার আমদানিতে করভার কমিয়ে ১৫%, এবং বিদ্যৎ-সাশ্রয়ী ও এলইডি বাতি উৎপাদনে উপকরণে কর ছাড় দেওয়া হয়েছে। এজন্য সরকারকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।
Advertisement
এসময় তিনি বলেন, হিমায়িত ও প্রক্রিয়াজাত মাছ আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের বিষয়টি যুক্তি সংগত হয়নি। আমরা মিঠা পানির মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমরাই এখন মাছ রপ্তানি করছি, শীর্ষ মাছ উৎপাদনকারী দেশের মধ্যে আমরা একটা। এখানে আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার কেন হলো জানি না।
ম্যালেরিয়া, যক্ষ্মা, ক্যানসার ও ডায়াবেটিসের ওযুধে উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট ছাড় দেওয়ায় স্বাস্থ্য খাত উপকৃত হবে। স্যানিটারি ন্যাপকিন, ডায়াপার ও সাবান-শ্যাম্পু তৈরির কাঁচামাল আমদানিতে ভ্যাট ছাড় সুবিধা আরও এক বছর বহাল রাখার কারণে দেশীয় শিল্প উপকৃত হবে।
আমদানি পর্যায়ে জ্বালানির ওপর ভ্যাট এবং আগাম কর অব্যাহতি দেওয়ার ফলে জ্বালানি খরচ কমবে। এতে শিল্প খাতসহ সবাই উপকৃত হবে।
ইএআর/এমআইএইচএস/এএসএম
Advertisement