শুক্রবার সন্ধ্যায় ভারতের ওড়িশায় ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৯ শতাধিক যাত্রী। আহত-নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
Advertisement
ওড়িশার দমকল বাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেল সুধাংশু সরঙ্গীর বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর দিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদেরও আশঙ্কা, উদ্ধারকাজ যত এগোবে, নিহত এবং আহতের সংখ্যা আরও বাড়বে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনে অনেক যাত্রী এখনো আটকে রয়েছেন বলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন। সারারাত ধরে ট্রেনের দরজা ভেঙে উদ্ধারকাজ চালানো হয়েছে। নামানো হয়েছে সেনাবাহিনীকেও। দুর্ঘটনা এবং তার পরবর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা থেকে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছেন ঘটনাস্থলে।
Advertisement
রাতে হাওড়া এবং শালিমার স্টেশনে ভিড় করেছেন দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের যাত্রীদের উদ্বিগ্ন স্বজনরা। দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে এককালীন ১০ লাখ টাকা, গুরুতর আহতদের ২ লাখ টাকা এবং অল্প আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুন: চিকিৎসা করাতে বাংলাদেশ থেকে এসেছি, খুবই বিপদে পড়ে গেলাম
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুপুর সোয়া ৩টায় হাওড়ার অদূরে শালিমার স্টেশন থেকে ছেড়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। প্রায় চার ঘণ্টা পরে ওড়িশার বোলেশর বাহানগা বাজারের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ২৩ বগির ট্রেনটি।
এদিকে দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনটিতে বাংলাদেশি যাত্রী থাকতে পারে। চিকিৎসার জন্য অনেক বাংলাদেশি এই ট্রেনে কলকাতা থেকে চেন্নাই যাতায়াত করেন। দুর্ঘটনায় কোনো বাংলাদেশি থাকলে তাদের তথ্য জানতে হটলাইন (+৯১৯০৩৮৩৫৩৫৩৩ হোয়াটসঅ্যাপ) নম্বর দিয়েছে কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন।
Advertisement
শুক্রবার রাতে উপ-হাইকমিশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই হটলাইনের কথা জানিয়েছে।
এমএইচআর