কাজের নামে নিজের ভাইকে ফোন করে নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল দাদা (বড় ভাই)। পরদিন সকালে দাদার বাড়ি থেকেই উদ্ধার হলো ছোট ভাইয়ের মরদেহ। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত দাদা। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার শান্তিপুর পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের জলেশ্বর তিলিপাড়া এলাকায়।
Advertisement
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে কমেছে সোনার দাম
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত যুবকের নাম উত্তম প্রামানিক (২৩)। বৃহস্পতিবার (১ জুন) সন্ধ্যার দিকে কিছু কাজের কথা বলে উত্তমকে নিজ বাড়িতে ডেকে আনেন দাদা প্রবীর প্রামাণিক। একপর্যায়ে রাত হয়ে যাওয়ার পরও বাড়িতে ফিরে না এলে সন্দেহ দানা বাঁধে উত্তমের পরিবারে। তার মোবাইল ফোনে কল দিলেও সেটি বন্ধ দেখায়।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার সীমান্তে হামলা, দুই নারী নিহত শুক্রবার (২ জুন) সকালে উত্তমের স্ত্রী মুক্তা প্রবীরের বাড়িতে এসে দেখতে পান, বাইরে তার স্বামীর স্যান্ডেল পড়ে আছে। কোনোক্রমে জানলার ফাঁক দিয়ে চোখ গলিয়ে মুক্তা দেখতে পান, উত্তমের রক্তাক্ত দেহ ঘরের মধ্যে পড়ে রয়েছে। এরপর শান্তিপুর থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙে উত্তমের মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন প্রবীর প্রামাণিক।
Advertisement
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গে যাচ্ছেন বিজেপির তিন শীর্ষ নেতা
শান্তিপুর থানা-পুলিশ জানিয়েছে, উত্তম ও প্রবীর ছাড়াও আরও এক ভাই রয়েছে তাদের। কিছুদিন আগে পারিবারিক অশান্তির কারণে ভিটেছাড়া হতে হয় প্রবীরকে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ওই আক্রোশ থেকেই ভাইকে খুন করেছেন তিনি। তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
ডিডি/এসএএইচ/এএসএম
Advertisement