দেশব্যাপী প্লাস্টিক রিসাইক্লিং ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে রাজধানীর উত্তরা এলাকায় প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগ্রুপ প্রাণ-আরএফএল। আন্তর্জাতিক পরিবেশ দিবস সামনে রেখে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও জনমানুষকে সচেতন করতে ব্যবহৃত প্লাস্টিক রিসাইক্লিং ক্যাম্পেইন করছে প্রাণ-আরএফএল। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ২৪টি জেলার ব্যবহৃত প্লাস্টিক সংগ্রহে ‘লেটস সেভ দ্য প্ল্যানেট’ নামে দিনব্যাপী এ ক্যাম্পেইন পরিচালিত হচ্ছে।
Advertisement
শুক্রবার (২ জুন) বিকেল ৪টায় উত্তরা ফ্রেন্ডস ক্লাব মাঠ থেকে এ ক্যাম্পেইন শুরু হয়। সেখানে শত শত উৎসুক জনতাকে সঙ্গে নিয়ে এ ক্যাম্পেইনে আগে থেকে রেজিস্ট্রেশন করা স্বেচ্ছাসেবী এবং প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন। ওই এলাকায় ১২টি টিম কয়েকশো কেজি ব্যবহৃত প্লাস্টিক সংগ্রহ করেছে। পাশাপাশি যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা না ফেলার জন্য জনসাধারণকে সচেতন করা হয়।উত্তরায় এ ইভেন্টের দায়িত্ব ছিলেন সিএস মার্কেটিং ইভেন্টের সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার সাব্বির হোসেন। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, উত্তরা এলাকায় ৯৩ জন স্বেচ্ছাসেবী এ কার্যক্রমে যুক্ত হতে রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন। তাদের সঙ্গে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের অর্ধশতাধিক কর্মী স্বেচ্ছায় ইভেন্টে অংশ নিয়েছেন।
সাব্বির হোসেন বলেন, আমরা বিভিন্ন ধরনের আবর্জনা বিশেষ করে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক পরিষ্কার করেছি। পাশাপাশি কেউ যেন যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা না ফেলে সে জন্য সচেতন করা হয়।আরও পড়ুন>> দেশের ২৪ জেলার প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করবে প্রাণ-আরএফএল
তিনি বলেন, সবাই অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ববোধ থেকে এখানে এসেছেন। আমরা এ ইভেন্টে ভালো সাড়া পেয়েছি।
Advertisement
সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে সারাদেশে এ ক্যাম্পেইন চালু করেছে প্রাণ-আরএফএল। শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর হাতিরঝিলের অ্যাম্ফিথিয়েটারে কেন্দ্রীয়ভাবে এ ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে একই দিন দেশের ২৪ জেলার ৫৮ স্থানে পড়ে থাকা বিভিন্ন ধরনের আবর্জনা বিশেষ করে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক পরিষ্কার করা হয় এবং মানুষ যেন যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা না ফেলে এ ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি করা হয়।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ ২০৩০ সালের মধ্যে ভার্জিন প্লাস্টিকের ব্যবহার এক-তৃতীয়াংশে নামিয়ে আনা এবং রিসাইক্লিং করা সম্ভব এমন প্যাকেজিংয়ে অধিক গুরুত্ব দেবে। সেইসঙ্গে শতাধিক প্লাস্টিক সংগ্রহ কেন্দ্রের মাধ্যমে নিজেদের উৎপাদনের প্রায় ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ প্লাস্টিক রিসাইক্লিংয়ের আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে প্রাণ-আরএফএলের।এনএইচ/এমএএইচ/জিকেএস