চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে গড়ে ওঠা নতুন কর্মজগতে দেশের ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হয়েছে, যা ২০২৫ সাল নাগাদ ৩০ লাখে উন্নীত করার লক্ষ্য ঠিক করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশকালে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ তথ্য জানান।
Advertisement
মন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা দুটোকেই সমান্তরালভাবে নিয়ে এসেছে। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের ধারাবাহিকতায় আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি, যার অন্যতম অনুষঙ্গ হবে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের উপযোগী কর্মজগৎ তৈরি।
তিনি বলেন, এরইমধ্যে আইটি ফ্রিল্যান্সিং, সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার শিল্প, বিপিও, ই-কমার্স, রাইড শেয়ারিং, ফিনটেক, এডুটেক, ইন্টারনেট সার্ভিস খাতে ২০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে, যা ২০২৫ সাল নাগাদ ৩০ লাখে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
মুস্তফা কামাল বলেন, এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) মাধ্যমে এনহান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি (ইডিজিই) প্রকল্প, এসপায়ার টু ইনোভেটসহ (এটুআই) আইসিটি বিভাগের অন্যান্য প্রকল্প থেকে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই), ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি), অগমেন্টেড রিয়্যালিটি (এআর), ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি (ভিআর), বিগ ডেটা, ব্লকচেইন, সাইবার সিকিউরিটিসহ প্রযুক্তিবিষয়ক প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সারাদেশে এ পর্যন্ত ১৩ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি সংসদীয় আসনে একটি করে মোট ৩০০টি শেখ রাসেল স্কুল অব ফিউচার স্থাপনের কার্যক্রম শেষ হয়েছে।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ১০৯টি হাইটেক পার্ক বা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক অথবা আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। কুয়েটে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার ও শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ আইটি ইন্ডাস্ট্রির জনবলের চাহিদা বিবেচনা করে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে ৬০ হাজার ৬৮০ জন ও ২০৩০ সালের মধ্যে এক লাখ তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এরইমধ্যে ৩৭ হাজার ৮০০ জনের প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। ১৫১টির বেশি স্টার্টআপকে এক বছরমেয়াদি ইনকিউবেশন সুবিধা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত পার্কসমূহে পুরোদমে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালু হলে ২০২৫ সালের মধ্যে ৫২ হাজার তরুণ-তরুণী এবং ২০৩০ সালের মধ্যে দুই লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।
এনএইচ/এএএইচ/জেআইএম
Advertisement