২০২৩-২৪ প্রস্তাবিত অর্থবছরের বাজেটে বিদেশি কসমেটিকস আমদানিতে রেগুলেটরি ডিউটি (শুল্ক কর) বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থাৎ এখন সাজতে গেলে বেশি টাকা গুনতে হবে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১ জুন) ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট সংসদে উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বাজেট বক্তব্যে তিনি জানান, কসমেটিকস আমদানিতে শুল্ক কর আরও ১৭ শতাংশ বাড়িয়ে অর্থাৎ ২০ শতাংশ আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বিদেশি কসমেটিকস আমদানিতে আগে শুল্ক কর ছিল ৩ শতাংশ। এখন থেকে তা হবে ২০ শতাংশ।
এতে অর্গানিক সার্ফেস অ্যাকটিভ উপকরণ, বার কেক ও বিভিন্ন সাবান তৈরির উপকরণ, ওয়াশিং ক্রিম, লিকুইড ক্রিম ও বিয়ের উপকরণের দাম বাড়বে। এছাড়া প্রস্তাবিত বাজেটে বিদেশি সাবান, লিকুইড সাবান ও ডিটারজেন্টের শুল্ক কর ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
Advertisement
দেশীয় বাজারে বিদেশি কসমেটিকস জাতীয় পণ্যের দাম তুলনামূলক বেশি। অধিকাংশ সময়ই লাগেজ পার্টির মাধ্যমে কিংবা অবৈধ উপায়ে বিদেশি কসমেটিকস আমদানির অভিযোগ রয়েছে। সেজন্য বিদেশি উপকরণসহ কসমেটিকস শুল্ক কর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
এর আগে জাতীয় সংসদে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হয় বাজেট অধিবেশন। অধিবেশনে উপস্থিত রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এবারের বাজেট বক্তব্যের শিরোনাম ‘উন্নয়নের অভিযাত্রার দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা’। এটি স্বাধীন বাংলাদেশের ৫২তম বাজেট। আওয়ামী লীগ সরকারের তিন মেয়াদের ১৫তম বাজেট এটি।
নতুন অর্থবছরের এ বাজেট প্রস্তাব দিতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, চারটি মূল স্তম্ভের ওপর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে রয়েছে- স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট সমাজ ও স্মার্ট অর্থনীতি।
Advertisement
এনএইচ/এএএইচ/জেআইএম