করোনাভাইরাস সংকট ও ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বিশ্ব্যবাপী সংকটময় অবস্থা। এর মধ্যেই জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
Advertisement
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলছে, এ বাজেট সংকট উত্তরণের বাজেট। সংকটের মধ্যে এ বাজেট স্বস্তির। উন্নয়ন ও জনজীবন উন্নত করার বাজেট। এটি বাস্তবায়ন করা গেলে দেশ আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) বাজেট উত্থাপনের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ জাগো নিউজকে বলেন, ‘এবার যে একটা নতুন ধরনের বাজেট দেওয়া হলো। তাতে অর্থমন্ত্রীর তো একটা কথাও বলা লাগলো না। এটাই এ বাজেটের ইতিবাচক দিক।’
আরও পড়ুন>> দাম বাড়বে যেসব পণ্যের
Advertisement
আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী একটা সংকট আছে। এ সংকট থেকে উত্তরণের জন্য এ বাজেট দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে যাতে সংকট আর না বাড়ে বা এর থেকে যেন বেরিয়ে আসা যায়, সে বিবেচনায় বাজেট দেওয়া হয়েছে।’
দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম জাগো নিউজকে বলেন, ‘সংকটের মধ্যেও এ বাজেট স্বস্তিদায়ক। মানুষের কল্যাণে দ্রব্যমূল্যের যে ঊর্ধ্বগতি, সেটা যাতে কমে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনার প্রচেষ্টাসহ সব দিক দিয়ে বাজেটকে জনবান্ধব করার যে প্রচেষ্টা, সেটা সফলতা পাবে।’
আরও পড়ুন>> সংসদে বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন জাগো নিউজকে বলেন, ‘বর্তমান টালমাটাল বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতি। বিশ্বব্যাপী অস্বাভাবিক মূল্যস্ফীতির দুঃসময়ে একটি বাস্তবভিত্তিক গণমুখী বাজেট প্রণয়ন করা অতীব দুরূহ বিষয়। অভিজ্ঞ, দক্ষ, জ্ঞানতাপস রাষ্ট্রনেতা শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে সরকার সেই আগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা, ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০-এর আলোকে উন্নয়ন ও জনজীবন উন্নত করার বাজেট পেশ করা হয়েছে। এ বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারলে দেশ ও জনগণ আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে।’
Advertisement
আরও পড়ুন>> বাজেট সরকার না আইএমএফ দিচ্ছে দেখতে হবে: খসরু
বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রিসভার বিশেষ এ বৈঠকে ৭ কোটি ৬১ লাখ ৭৮৫ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়।
এরপর বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হয় বাজেট অধিবেশন। পরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাজেট পেশ করেন। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বাজেট অধিবেশন মুলতবি করা হয়।
আরও পড়ুন>> মূল্যস্ফীতিতে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য বাধাগ্রস্ত হতে পারে
এবারের বাজেট বক্তব্যের শিরোনাম ‘উন্নয়নের অভিযাত্রার দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা’। এটি স্বাধীন বাংলাদেশের ৫২তম বাজেট। আওয়ামী লীগ সরকারের তিন মেয়াদের ১৫তম বাজেট এটি।
নতুন অর্থবছরের এ বাজেট প্রস্তাব দিতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, চারটি মূল স্তম্ভের ওপর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে রয়েছে- স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট সমাজ ও স্মার্ট অর্থনীতি।
এসইউজে/জেআইএম