মো. শাকিল আহমেদ
Advertisement
নেলসন ম্যান্ডেলা বলেছেন, ‘শিক্ষা হলো সবচেয়ে ক্ষমতাধর অস্ত্র, যা আমরা ব্যবহার করতে পারি এই পৃথিবীকে পাল্টে ফেলতে।’ এই শিক্ষার কিছু উপকরণ আছে। পাঠ্যপুস্তকের বাইরে ব্যবহৃত সব ধরনের উপাদানই হলো শিক্ষা উপকরণ। যেমন- বেতার, মোবাইল, অডিও ক্যাসেট, গ্লোব, বুলেটিন বোর্ড, টেলিভিশন, দর্শনীয় ও ঐতিহাসিক স্থান, ল্যাপটপ, মাল্টিমিডিয়া ও ডিজিটাল কন্টেন্ট।
শিক্ষা উপকরণ ব্যবহারের মূল উদ্দেশ্য হলো পাঠের জন্য উদ্দেশ্য অর্জন। এর বৈশিষ্ট্য হলো শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক পাঠদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীকে পাঠের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে শিখন-শেখানো কার্যাবলিকে অধিকতর কার্যকরি ও ফলপ্রসূ করা। সেই সঙ্গে শ্রেণিপাঠদানকে সহজ ও আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করা।
আরও পড়ুন: শিক্ষা উপকরণের সুলভ মূল্য নির্ধারণ করা হোক
Advertisement
এসব উপকরণ যে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাস্তবায়ন করার জন্য প্রয়োজন শিক্ষাখাতে সঠিক পরিমাণের একটি বাজেট ঘোষণা করা। একটি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিশ্ব র্যাঙ্কিং করার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো দেখা হয়, তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সেই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও প্রকাশনা কতটা শক্তিশালী।
পৃথিবীর উন্নয়নশীল দেশ থেকে যারা উন্নত দেশে পরিণত হয়েছে বা হওয়ার পথে; তাদের বেশিরভাগেরই শিক্ষাখাতের বরাদ্দ অনেক বেশি। এদিকে জাতিসংঘের মতে, কোনো দেশের বাজেটের ২০ শতাংশ বা জিডিপির ৬ শতাংশ শিক্ষাখাতে বরাদ্দ করা উচিত। বিপরীতে আমাদের দেশের শিক্ষাখাতে জিডিপির ২ দশমিক ৬ থেকে ৭ শতাংশের বেশি বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: দাম বাড়বে যেসব পণ্যের
আমাদের দেশের শিক্ষাখাতকে মজবুত করার জন্য এ খাতে বাজেটের পরিমাণ বাড়াতে হবে। যা অনস্বীকার্য বটে। আমাদের উচিত, শিক্ষাখাতে সর্বোচ্চ পরিমাণ বাজেট নির্ধারণ সাপেক্ষে বাজেট ঘোষণা করা।
Advertisement
লেখক: শিক্ষার্থী, ইংরেজি বিভাগ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, ঢাকা।
এসইউ/এএসএম