প্রবাসী বাংলাদেশি বা দেশের বাইরে বেড়াতে গিয়ে অনেকেই সোনার অলংকার বা বার নিয়ে আসেন। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে এমনটা বেশি হয়ে থাকে। এখন থেকে দেশের বাইরে থেকে সোনা আনলে আগের তুলনায় দ্বিগুণ কর পরিশোধ করতে হবে। আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে প্রতি ভরি সোনায় ৪ হাজার টাকা কর প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে প্রতি ভরি সোনায় কর দিতে হয় দুই হাজার টাকা।
Advertisement
এছাড়াও প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যক্তি পর্যায়ে সোনা আনার পরিমাণও কমানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। বর্তমানে সর্বোচ্চ ২৩৪ গ্রাম বা ২০ দশমিক শূন্য ৬ ভরি পর্যন্ত সোনা আনা যায়। আগামী অর্থবছরে তা কমিয়ে ১১৭ গ্রাম বা ১০ দশমিক শূন্য ৩ ভরি করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনকালে এসব প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, যাত্রী (পর্যটক) ব্যাগেজ (আমদানি) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ৩ এর উপ-বিধি (১০) মোতাবেক একজন যাত্রী বিদেশ থেকে আগমনকালে ২৩৪ গ্রাম ওজনের সোনার বার বা পিন্ড সব ধরনের শুল্ক-কর পরিশোধ করে আমদানি করতে পারেন। এই সুবিধা কমিয়ে ১১৭ গ্রাম ওজনের সোনার বার আমদানির সুবিধার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে বিদ্যমান ব্যাগেজ বিধিমালায় প্রয়োজনীয় সংশোধন আনা হয়েছে।
Advertisement
তিনি বলেন, বর্তমানে ব্যাগেজ বিধিমালার আওতায় একজন যাত্রী বিদেশ থেকে আসার সময় সোনা আনার ক্ষেত্রে প্রতি ভরিতে দুই হাজার টাকা কর পরিশোধ করতে হয়। আগামী অর্থবছরের বাজেটে এই করের পরিমাণ প্রতি ভরি সোনার জন্য চার হাজার টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।
নির্ধারিত পরিমাণের অতিরিক্ত সোনার বার অথবা রুপার বার বহন করলে শাস্তির বিধান সুস্পষ্ট না থাকায় তা বিদ্যমান বিধিমালায় সংযুক্ত করা যায়। এ লক্ষ্যে বিদ্যমান বিধিমালার বিধি ৩ এর উপবিধি (১০) এ নিচের শর্ত সংযোজন করা হয়েছে। উল্লেখিত পরিমাণের অতিরিক্ত যে কোনো পরিমাণ সোনা বা রুপার বার আনলে তা কাস্টমস অ্যাক্ট, ১৯৬৯ অনুযায়ী বাজয়াপ্ত হবে।
ইএআর/কেএসআর/এএসএম
Advertisement