বাজেট হচ্ছে একটি দেশের সম্ভাব্য আয়-ব্যয়ের হিসাব। একটি নির্দিষ্ট অর্থবছরে কোথায় কত ব্যয় হবে, সেই পরিকল্পনার নামই বাজেট। বাজেটের ওপরে নির্ভর করে পরবর্তী অর্থবছরে জিনিসপত্রের বাজারদর কেমন যাবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দাম বৃদ্ধির ঘটনা বেশি ঘটে। যার কবল থেকে রেহাই পায় না শিক্ষা উপকরণও। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে যা আমার জন্য প্রধান উদ্বেগের বিষয়।
Advertisement
করোনা অতিমারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দোহাই দিয়ে আমাদের দেশের জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। প্রতি বাজেটেই উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে সবকিছুর দাম। যার মধ্যে শিক্ষাক্ষেত্রও অন্যতম।
শিক্ষাবার্তা ডটকমের জানুয়ারি মাসের একটি প্রতিবেদন থেকে জানতে পারি, ‘৮০ পৃষ্ঠার অপসেট কাগজের একটি বাইন্ডিং খাতার দাম ২৫ টাকা থেকে বেড়ে ৩৫ টাকা হয়েছে। শুধু খাতা নয়, চায়না থেকে আমদানি করা জ্যামিতি বক্স, স্কেল, পেন্সিল, কলমসহ সবকিছুর দাম ৪০-৫০ শতাংশ বেড়েছে। সৃজনশীল ও সহায়ক বইও ২৫-৩০ শতাংশ বেড়েছে। উপন্যাস-গল্পের সৃজনশীল বই আগে যেটি ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, বর্তমানে সেটি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চাকরির প্রস্তুতিমলূক বইয়ের দামও বেড়েছে ৩০-৪০ শতাংশ।’
আরও পড়ুন: শিক্ষাক্ষেত্রে বাজেট বাড়ানো উচিত
Advertisement
শিক্ষা সংশ্লিষ্ট জিনিসপত্রের এরকম অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি সবার জন্য শিক্ষা কার্যক্রমের বিপরীতে বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। মধ্যবিত্ত থেকে নিম্নবিত্তের শিক্ষাযাত্রায় ব্যাপারটা আতঙ্কের ও হুমকি স্বরূপ। শিক্ষা উপকরণ জোগান দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে পরিবার প্রধানকে। কোথাও কোথাও ঘটছে পড়াশোনা বন্ধ করে দেওয়ার মতো ঘটনা।
জাগোনিউজ২৪.কমের একটি প্রতিবেদনে পাই, ৯ মে অনুষ্ঠিত এসএসসি গণিত পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল ৩৫ হাজার শিক্ষার্থী। হয়তো শিক্ষা উপকরণের এমন ঊর্ধ্বগতি এ অনুপস্থিতির অন্যতম কারণ।
একটি জাতির অগ্রগতির মূল হাতিয়ার শিক্ষা। শিক্ষা উপকরণের সুলভ মূল্য নির্ধারণ করা সবার অন্যতম দাবি। আশা ভরা বুক নিয়ে আবেদন করা যায় ঠিকই। দিনশেষে হয়তো আবারও বেড়ে যাবে শিক্ষা উপকরণের দাম। আর এটাই হয়তো বাস্তবতা, নিয়তি।
লেখক: শিক্ষার্থী, ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
Advertisement
এসইউ/জেআইএম