মাসুম শাহরিয়ার
Advertisement
একটি দেশের সম্ভাব্য আয়-ব্যয়ের হিসাব হচ্ছে বাজেট। এজন্য দেশ চালাতে সরকারকে বাজেট তৈরি করতে হয়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ৭ লাখ ৬১ হাজাট ৭৮৫ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করছেন।
এবারের প্রস্তাবিত বাজেটকে আমি ব্যক্তিগতভাবে কঠিন সময়ের বাজেট মনে করছি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ করোনা পরবর্তী দেশের অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের জন্য এ বাজেট কঠিন সময়ের বাজেট। এবারের বাজেটের অঙ্কটা বড়। তবে অঙ্ক বড় দেখে আনন্দের কিছু দেখছি না। কারণ এবারের বাজেটও ঘাটতির বাজেট।
বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মতো শিক্ষা উপকরণের দামও বেড়েছে। কলম, খাতা, বই ইত্যাদির দাম বাজেট দেখে মনে হচ্ছে আরও একধাপ বাড়বে। শিক্ষা উপকরণের মূল্য বৃদ্ধিতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম যখন বিঘ্ন হচ্ছে; তখন দাম আরও একধাপ বাড়লে কী হবে ভাবতে পারছি না।
Advertisement
আরও পড়ুন: দাম বাড়বে যেসব পণ্যের
সংসার চালিয়ে অনেক পরিবার সন্তানকে শিক্ষিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যয় সঠিকভাবে মেটাতে পারবে কি না সন্দেহ হচ্ছে। প্রতি বছর শিক্ষাক্ষেত্রে যে বাজেট হয়, সেটি আমার কাছে যথেষ্ট মনে হয় না। কথায় আছে, ‘যে জাতি যত শিক্ষিত; সে জাতি তত উন্নত’।
মানসম্মত গবেষণামূলক শিক্ষাব্যবস্থার ফলে পৃথিবীর অনেক দেশ নিজেদের অনেক ধাপ এগিয়ে নিয়েছে অর্থনৈতিক উন্নয়নের সমৃদ্ধির পথে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, দেশে প্রতি বছর শিক্ষাক্ষেত্রে বাজেট প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে থাকে।
শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধিতে ও গবেষণার জন্য শিক্ষাক্ষেত্রে বাজেট বাড়ানো উচিত। শিক্ষা উপকরণসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানো সম্ভব, এমন বাজেটই কাম্য।
Advertisement
লেখক: শিক্ষার্থী, আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।
এসইউ/এএসএম