অর্থনীতি

সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমছেই

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম দশ (জুলাই- এপ্রিল) মাসে গ্রাহক যে পরিমাণ সঞ্চয়পত্র কিনেছেন, তার চেয়ে ভাঙিয়েছেন বেশি। এই দশ মাসে ৬৮ হাজার ৩৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। বিপরীতে মুনাফা ও মূল বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে ৭১ হাজার ৬১৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা। অর্থাৎ কেনার চেয়ে ৩ হাজার ৫৮০ কোটি টাকার বেশি ভাঙিয়েছেন গ্রাহক। জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

Advertisement

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূলত সঞ্চয়পত্রে নানা শর্ত জুড়ে দেওয়ায় বিক্রি তলানিতে নেমেছে। এসব শর্তের মধ্যে রয়েছে- চলতি অর্থবছর সঞ্চয়পত্রে ৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে আয়কর রিটার্নের সনদ বাধ্যতামূলক করা, ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সব রকম সঞ্চয়পত্রের সুদহার ২ শতাংশ কমানো, সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগ সীমা কমিয়ে আনা, মুনাফার ওপর উৎসে করের হার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা ইত্যাদি।

আরও পড়ুন: সঞ্চয়পত্র ভাঙার হিড়িক, সুদাসল মেটাতেই বাড়তি চাপ 

অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ৫ হাজার ৩৮১ কোটি টাকার। একই মাসে মূল ও মুনাফা বাবদ সরকারকে পরিশোধ করতে হয়েছে ৪ হাজার ৭৯৯ কোটি টাকা। এপ্রিলে নিট বিক্রির পরিমাণ ৫৮১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। আগের মাস মার্চে নিট বিক্রির ঘাটতি (ঋণাত্মক) ছিল ৬৫২ কোটি টাকা।

Advertisement

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই- এপ্রিল) মোট ৬৮ হাজার ৩৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। এসময়ে মুনাফা ও মূল বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে ৭১ হাজার ৬১৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা। এসময়ে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার কোনো ঋণ পায়নি, বরং মূল ও মুনাফাসহ ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বেড়েছে। হিসাব বলছে, বিনিয়োগের চেয়ে ৩ হাজার ৫৭৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা কোষাগার বা ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে পরিশোধ করেছে সরকার।

আরও পড়ুন: সঞ্চয়পত্র কোথায় ও কীভাবে কিনবেন? 

আসন্ন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সঞ্চয়পত্র থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। এটি চলতি অর্থবছরের চেয়ে ৪৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ কম। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা আছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা।

ইএআর/কেএসআর/জিকেএস

Advertisement