চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে জাতীয় সংসদ। শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, চলতি সংসদে আমরা এত সংখ্যক সংসদ সদস্য (এমপি) হারিয়েছি, যা অতীতে কখনো ঘটেনি।
Advertisement
তিনি বলেন, ফারুক এভাবে চলে যাবেন তা কখনো ভাবিনি। আল্লাহ তার পরিবারকে এই শোক সইবার ক্ষমতা দেন।
আরও পড়ুন: নায়ক ফারুকের মৃত্যুতে সংসদে শোক প্রস্তাব
বুধবার (৩১ মে) বিকেল ৫টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়। এরপর জাতীয় সংসদের পক্ষ থেকে শোক জানানো হয়।
Advertisement
সরকারি দলের এই সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে সংসদে আনা শোক প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করেছে সংসদ। এর আগে সংসদে উত্থাপিত শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা আলোচনায় অংশ নেন। পরে রেওয়াজ অনুযায়ী সংসদের বৈঠক মুলতবি করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফারুক ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে ছাত্র জীবনে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছেন। নিষ্ঠা ও সাহসের সঙ্গে সব আন্দোলন-সংগ্রামে অবদান রেখেছেন। দুঃখজনক হচ্ছে আমরা একে একে মুক্তিযোদ্ধাদের হারিয়ে ফেলছি।
আরও পড়ুন: বাজেট অধিবেশন শুরু
তিনি বলেন, কেবল রাজনীতি নয়, আমাদের সাংস্কৃতিক জগতে তার অবদান রয়েছে। তার মৃত্যুতে সংস্কৃতি অঙ্গনের বিরাট ক্ষতি হয়েছে। সব আন্দোলন-সংগ্রামে আমরা সাংস্কৃতিক কর্মীদের পাশে পেয়েছি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যখন তার নাম নিতেই কেউ যখন সাহস পাচ্ছিল না, তখন সাংস্কৃতিক কর্মীরা এগিয়ে এসেছিলেন। স্বাধীনতার চেতনাকে সামনে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে ফারুক ভূমিকা রেখেছেন।
Advertisement
পরে আকবর হোসেন পাঠানসহ মৃত্যুবরণকারীদের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করে মাওলানা রুহুল আমিন মাদানী।
শোক প্রস্তাবের ওপর অন্যদের মধ্যে সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের, আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আসাদুজ্জামান নূর, হাবীব হাসান, মেহের আফরোজ, জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বক্তব্য রাখেন।
এইচএস/কেএসআর/জিকেএস