আগামীতে জাহাজ নির্মাণশিল্প দেশের অন্যতম রপ্তানি খাত হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া।
Advertisement
তিনি বলেন, শিপইয়ার্ড ও শিপবিল্ডিং সেক্টরের প্রতিবন্ধকতা, চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা ও সমীক্ষা চালিয়েছি। এই প্রতিবন্ধকতা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারলেই আগামীতে শিপবিল্ডিং সেক্টর হবে দেশের অন্যতম রপ্তানি খাত।
আরও পড়ুন: এগিয়ে চলছে পিরোজপুরের জাহাজ নির্মাণ শিল্প
বুধবার (৩১ মে) বিডা’র কনফারেন্স কক্ষে এক কর্মশালায় এসব কথা বলেন লোকমান হোসেন মিয়া।
Advertisement
তিনি বলেন, আমাদের রয়েছে বিশাল সমুদ্র। ব্লু-ইকোনমি আমাদের অন্যতম সম্ভাবনার জায়গা। শিপইয়ার্ড ও শিপবিল্ডিং সেক্টরের উন্নয়ন ছাড়া ব্লু-ইকোনমি যথার্থ সুফল কোনোভাবেই পাওয়া সম্ভব নয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, বিশ্ব বাণিজ্যের শতকরা ৮০ শতাংশ বাণিজ্য হয় সমুদ্রপথে।
আরও পড়ুন: জাহাজ নির্মাণ শিল্পের ঋণ পরিশোধের সুবিধা পরিপালনের নির্দেশ
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিডার নির্বাহী সদস্য মিজ মোহসিনা ইয়াসমিন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এমসিসিআই প্রেসিডেন্ট মো. সাইফুল ইসলাম, অ্যাসোসিয়েশন অব এক্সপোর্ট ওরিয়েন্টেড শিপবিডিং ইন্ডাস্ট্রিজ অব বাংলাদেশের সভাপতি আবদুল্লাহেল বারী প্রমুখ।
Advertisement
আরও পড়ুন: জাহাজ শিল্পে ব্যাংক ঋণের সুদ হার কমানোর দাবি
এমসিসিআই প্রেসিডেন্ট বলেন, বর্তমানে জাহাজ নির্মাণশিল্প থেকে বাংলাদেশ প্রতিবছর প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা আয় করে। এপর্যন্ত প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের জাহাজ এক্সপোর্ট হয়েছে। যা ২০২৬ সালে দাঁড়াবে ৬৫০ মিলিয়ন ডলারে। আমরা যদি প্রতিবন্ধকতা দূর করে সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারি তাহলে নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে ২০৪০ সালে এই শিল্প থেকে ৯০ বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব।
এসএম/জেডএইচ/জিকেএস