জাতীয়

রায়হান হত্যা: দায়ী এসআইকে বাঁচিয়ে দেওয়া এএসপিকে তিরস্কার

সিলেটে পুলিশ হেফাজতে রায়হান আহমদ (৩৫) হত্যার ঘটনায় দায়ী পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে বাঁচিয়ে দেওয়ায় সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নির্মলেন্দু চক্রবর্তীকে লঘুদণ্ড হিসেবে ‘তিরস্কার’ করা হয়েছে।

Advertisement

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক সহকারী কমিশনার নির্মলেন্দুকে এ শাস্তি দিয়ে গত ২৫ মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। নির্মলেন্দু এখন হবিগঞ্জের মাধবপুর সার্কেলে কর্মরত।

২০২০ সালের ১০ অক্টোবর মধ্যরাতে সিলেট মহানগর পুলিশের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে রায়হান আহমদকে নির্যাতন করা হয়। ১১ অক্টোবর তার মৃত্যু হয়।

শাস্তির প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার থাকাকালে ২০২০ সালের ১১ অক্টোবর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ অন্য পুলিশ সদস্যরা শারীরিকভাবে নির্যাতন করলে জনৈক রায়হান আহমদ মৃত্যুবরণ করেন।

Advertisement

তার যথাযথ তদারকির অভাবে ভুল ধারায় সিলেট কোতোয়ালী মডেল থানায় ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর মামলা হয়। অনুসন্ধান কমিটির সদস্য ছিলেন নির্মলেন্দু চক্রবর্তী। পুলিশ সদস্যদের শারীরিক নির্যাতনের কারণে রায়হান আহমদের মৃত্যু ঘটে, যা ফৌজদারি অপরাধ হওয়া সত্ত্বেও তিনি এসআই আকবর হোসেনকে গ্রেফতারে আইনানুগ উদ্যোগ গ্রহণ না করে শুধু বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করে ২০১১ সালের ১০ মার্চ অভিযোগনামা ও অভিযোগবিবরণী জারি করা হয় বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নির্মলেন্দু চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হলে গুরুদণ্ড আরোপের সম্ভাবনা থাকায় এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জিয়াউর রহমানকে বিভাগীয় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।

তদন্তকারী কর্মকর্তা গত বছরের ২৭ নভেম্বর দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদনে নির্মলেন্দু চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানায়। তার বিরুদ্ধে ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮’ মোতাবেক ‘অদক্ষতা’র অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় ‘তিরস্কার’ লঘুদণ্ড দেওয়া হলো বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

Advertisement

আরএমএম/এমকেআর/এএসএম