গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ব্যাংকের ভল্ট থেকে লুটে নেওয়া ১২ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৯ মে) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে গাইবান্ধা পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
Advertisement
তিনি জানান, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) কোচাশহর শাখার ভল্ট থেকে ১৪ লাখ টাকা লুটে নেয় নৈশপ্রহরী গোলাম হোসেন জুয়েলসহ তার সহযোগীরা। পরে তার স্বীকারোক্তি মতে ১২ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
গোলাম হোসেন জুয়েল গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শ্রীপতিপুর গ্রামের মৃত সামছুল হকের ছেলে।
পুলিশ জানায়, শাখা কর্তৃপক্ষ প্রায়ই নৈশপ্রহরী জুয়েলের মাধ্যমে চাবি দিয়ে ভল্ট খোলা-বন্ধের কাজ করাতেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ব্যবস্থাপকসহ সবাই বাড়ি চলে যান। দুদিন বন্ধের পর রোববার সকালে ব্রাঞ্চ ম্যানেজার জেসমিন আক্তারসহ অন্যান্য স্টাফ ব্যাংকে এসে নৈশপ্রহরীকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দেখতে পান। পরে ভল্ট থেকে টাকা লুটের বিষয়টি অবগত হন।
Advertisement
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে ডাকাতি
ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সহায়তায় বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করে পুলিশ। নিরাপত্তাকর্মী জুয়েলকে ঘটনার বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি একেক সময় একেক রকম কথাবার্তা বলতে থাকেন। একপর্যায়ে পুলিশের কাছে জুয়েল স্বীকার করে, সে তার সহযোগীদের দিয়ে নিজেই ব্যাংকের ভল্টের তালা খুলে টাকা চুরি করেন। পরে নিজেই নিজের হাত-পা বেঁধে ডাকাতি নাটকের সাজান।
পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ১৪ লাখ ১৮ হাজার ৬০০ টাকার মধ্যে জুয়েলের বসতবাড়ী ও কোচাশহর কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে আসামির শয়ন কক্ষ হতে ১২ লাখ ৬৫ হাজার তিনশ টাকা উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ইবনে মিজান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) ধ্রুব জোতির্ময় গোপ, গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইজার উদ্দীন, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
শামীম সরকার শাহীন/আরএইচ/এএসএম