গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে এশিয়ায় দীর্ঘমেয়াদি শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা অনন্য। গণতন্ত্র ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করায় বারবার প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। তবুও জীবন বাজি রেখে আপসহীন নেত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছেন।
Advertisement
সোমবার (২৯ মে) সকালে ময়মনসিংহে টাউন হলের তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়’—বঙ্গবন্ধুর এ নীতিতেই বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মানুষ ঐতিহ্যগতভাবেই শান্তিপ্রিয়। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশ বিশ্বশান্তি রক্ষায় আন্তর্জাতিক শান্তি মিশনে কাজ শুরু করে। জীবন উৎসর্গ করে তারা শুধু দেশের মুখ উজ্জ্বলই করেননি, সফল করেছেন সব শান্তিপ্রিয় রাষ্ট্রের সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে।
তিনি আরও বলেন, সত্যি গর্ব অনুভব করি, যখন সারা বিশ্বের কাছে লাল-সবুজের পতাকা উজ্জ্বল করে রাখেন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। শান্তিরক্ষীরা আত্মত্যাগের মাধ্যমে এ সম্মান বয়ে এনেছেন।
Advertisement
ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেয়র ইকরামুল হক টিটু, বিভাগীয় কমিশনার শফিকুর রেজা বিশ্বাস, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাফিজুর রহমান, জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজার রহমান, পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঁঞা, অতিরিক্ত ডিআইজি এনামুল কবির, অতিরিক্ত ডিআইজি (ক্রাইম) আবিদা সুলতানা, র্যাব-১৪ এর অধিনায়ক মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান প্রমুখ।
এরআগে দিবসটি উপলক্ষে রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয় থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে টাউন হলের তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে শেষ হয়। পরে সেখানে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ ১৯৮৯ সাল থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সাফল্যের সঙ্গে অংশগ্রহণ করে চলেছে। এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ২১ হাজার ২৮৪ পুলিশ সদস্য শান্তিরক্ষা হিসেবে কাজ করেছেন। বর্তমানে ৫১২ জন পুলিশ সদস্যসহ সাত হাজার ২৬৯ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষা বিভিন্ন মিশনে কর্মরত আছেন। বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় গত ৩৪ বছরে বাংলাদেশের ১৬৬ জন শান্তিরক্ষী প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন।
মঞ্জুরুল ইসলাম/এসআর/এএসএম
Advertisement