বাংলাদেশকে ৩০ লাখ ডোজ করোনার টিকা দিয়েছে ফাইজার। এসব টিকা নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষকে বুস্টার ডোজ হিসেবে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
Advertisement
সোমবার (২৯ মে) দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ৩৬ কোটির অধিক টিকা দিতে সক্ষম হয়েছি। এরমধ্যে প্রথম, দ্বিতীয়, বুস্টারের দুই ডোজও রয়েছে। প্রথম ডোজ ৮৮ শতাংশ জনগণকে দিতে সক্ষম হয়েছি। দ্বিতীয় ৮২ শতাংশ ও তৃতীয় ডোজ প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষকে দিতে সক্ষম হয়েছি। সবমিলিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান অনেক ভালো।’
তিনি বলেন, ‘গড়ে আমরা ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ লোককে টিকা দিতে সক্ষম হয়েছি। বিশ্বে গড় ৭২ শতাংশ। স্বল্পোন্নত দেশে মাত্র ৩০ শতাংশ। আমাদের টিকাদান কর্মসূচি চলমান রয়েছে। টিকা নেওয়ার লোক এখন কম তুলনামূলকভাবে।’
Advertisement
আরও পড়ুন>>> মেয়াদোত্তীর্ণ টিকা দেওয়া যাবে আরও ৩ মাস: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
‘আমরা নতুন কিছু টিকা পেয়েছি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছ থেকে। সেই টিকা ফাইজার তৈরি করেছে। নাম হলো ভিসিভি বা ভ্যারিয়ান্ট কনটেইনিং ভ্যাকসিন। এই টিকাটি নতুন উদ্ভাবিত টিকা এবং বিভিন্ন দেশে দেওয়া হচ্ছে। বুস্টার ডোজ হিসেবে আমরা এই টিকাটি দেবো। আমরা প্রায় ৩০ লাখ ডোজ টিকা এরই মধ্যে পেয়েছি। তৃতীয় এবং চতুর্থ ডোজ আমরা এই টিকার মাধ্যমে দেবো। এই টিকার অনুমোদন ডব্লিউএইচও-র রয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে আমাদের টিকাদানের জাতীয় কারিগরি কমিটি রয়েছে, তাদেরও অনুমোদন ও মতামত রয়েছে। আমাদের ওষুধ প্রশাসনেরও অনুমোদন রয়েছে। আমরা এইর মধ্যে ট্রায়ালের কাজও শেষ করেছি, যেখানে কোনো সমস্যা দেখা দেয়নি।’
‘আমরা সারাদেশে সিটি করপোরেশন, জেলা-উপজেলায় যে টিকাকেন্দ্রগুলো আছে, সেখানে আমরা এই টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা আমরা করছি।’
Advertisement
চলতি সপ্তাহ থেকে ফাইজারের টিকা তৃতীয় ও চতুর্থ ডোজ হিসেবে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন>>> বিশ্বব্যাপী করোনার জরুরি অবস্থা তুলে নিলো ডব্লিউএইচও
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যারা আছেন, তারা তৃতীয় ডোজ পাবে। এবং চতুর্থ ডোজে ক্রাইটেরিয়া আমরা করেছি, তার মধ্যে ষাটোর্ধ্ব যারা জনগোষ্ঠী, তাদের দেওয়া হবে এই টিকা।
তিনি বলেন, ‘যারা দীর্ঘমেয়াদি রোগী, তাদের এই টিকা এবং যারা ১৮ বছরের ওপরে রয়েছেন, ক্রনিক অসুস্থ তাদের দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাদের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে, ইমিউনো কমপ্রাইজ যারা, তাদের এই টিকা দেওয়া হবে চতুর্থ ডোজ।’
‘গর্ভবতী মায়েদের দেওয়া হবে এবং সম্মুখসারিরযোদ্ধা যারা পায়নি চতুর্থ ডোজ তাদের এই টিকা দেওয়া হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের সাথে আমরা যে চুক্তি করেছিলাম, সেই চুক্তি অনুযায়ী দেড় কোটি টিকা পেয়েছিলাম। আমরা দেড় কোটির টাকা পরিশোধ করেছিলাম বাকি দেড় কোটি পাইও নাই, আমরা কোনো টাকা দেইও নাই। কাজেই সিরাম ইনস্টিটিউটের সাথে কোনো টাকা-পয়সার ব্যাপার আমাদের নাই। ওই চুক্তি এখন আর সেই পর্যায়ে বলবৎ নেই।’
দেশে করোনার টিকা তৈরি করা হবে বলেও জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী।
আরএমএম/এমআইএইচএস/বিএ/এমএস