কৃষি ও প্রকৃতি

ঠাকুরগাঁওয়ে ৬৭ কোটি টাকার ধান উৎপাদন হবে

ঠাকুরগাঁও জেলায় এবার বোরো মৌসুমে ৬০ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে ২ লাখ ৬৭ হাজার ৯৪০ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর বিপরীতে ৬১ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে ধান আবাদ হয়েছে।

Advertisement

এর মধ্যে প্রায় ৪৫% জমির ধান কাটা হয়েছে। কাটা ধানের পার হেক্টর জমিতে প্রায় সাড়ে ৬ টন করে ফলন হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলে বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী জেলা থেকে প্রায় ৬৭ কোটি টাকার ধান উৎপাদন হবে।

জেলা কৃষি কর্মকর্তার তথ্যমতে, গত বছরের চেয়ে এবার প্রায় ১ হাজার ৬০০ হেক্টর বেশি জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। বর্তমান বাজারদর ৯০০ টাকা মণ অনুযায়ী জেলা থেকে এবার ৬০২ কোটি ৮৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার ধান উৎপাদন হবে শুধু বোরো মৌসুমেই।

আরও পড়ুন: চিনাবাদামের বাজারমূল্য ৩২ কোটি টাকা 

Advertisement

ধান চাষি বিকাশ বর্মন বলেন, ‘আবহাওয়া ভালো থাকায় ধানের দাম ও ফলন ভালো পেয়েছি। গত বছর ১৬০০ টাকা বস্তা বিক্রি হয়েছিল। এবার প্রথম দিকে ২১০০-২২০০ টাকা দাম ছিল। এখন একটু কম। তারপরও ফলনে ও দামে আমরা খুশি ও সন্তুষ্ট।’

কৃষক খাদেমুল ইসলাম বলেন, ‘এবার ধানের ফলন ও দাম ভালো পেয়েছি। আগামীতে বোরো ধান চাষ করবো।’ বর্তমানে কৃষি খাতে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের ফলে তারা দ্রুত ফসল রোপণ ও কাটতে পারছেন। এতে কষ্টও কম হচ্ছে বলে জানান কৃষকেরা।

ব্যবসায়ী আক্তারুল ইসলাম বলেন, ‘গতবারের তুলনায় এবার ধানের বস্তাপ্রতি ২০০-৪০০ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে কাঁচা ধানের বস্তা ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকা দরে কিনেছি। তবে দাম আরও বাড়তে পারে।’

আরও পড়ুন: লিচুর ফলন ও দামে খুশি মেহেরপুরের চাষিরা 

Advertisement

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এবার পার হেক্টর জমিতে প্রায় সাড়ে ৬ টন করে ফলন হয়েছে। আশা করি ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাও অর্জিত হবে।’

তানভীর হাসান তানু/এসইউ/জিকেএস