কানাডায় ১৯৬৩ সালে যাত্রা শুরু করে ক্যালগেরি ম্যারাথন দৌড়। যা বর্তমানে দেশটির দীর্ঘতম এবং জনপ্রিয় ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা। এরই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় সময় রোববার (২৮ মে) সকাল ৭টায় প্রায় চার হাজার ৫০০ প্রতিযোগী ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করেন।
Advertisement
ফুল ম্যারাথন, অর্থাৎ ৪২ দশমিক ২ কিলোমিটার ক্যাটাগরিতে ৬০০-১০০০ জন অংশগ্রহণ করেন। এরমধ্যে তৃতীয়বারের মতো প্রবাসী বাংলাদেশিরাও অংশ নেন। ক্যালগেরিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি ও বিশিষ্ট নাট্য নির্দেশক জাহিদ হক অংশগ্রহণ করেন সম্পূর্ণ ম্যারাথন দৌড়ে। আর নাফিস আহমেদ ও শারমিন ইয়াসিন অংশগ্রহণ করেন আংশিক ম্যারাথন দৌড়ে।
এই প্রতিযোগিতায় দুই বছরের শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধসহ সবার বিভিন্ন দূরত্বের দৌড় কিংবা হাঁটার মাধ্যমে পুরো ক্যালগেরি নগরী উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন দূরত্বের মধ্যে আলট্রা (৫০ কিমি), ফুল ( ৪২ দশমিক ২ কিমি) আর হাফ (২১ দশমিক ১) ম্যারাথন দৌড় জনপ্রিয়।
নাট্য ব্যক্তিত্ব জাহিদ হক বলেন, কানাডার মাটিতে এ এক অন্যরকম অনুভূতি। গতবছর আমি কানাডার টরেন্টোতে ম্যারাথন দৌড়ে, ঢাকায় বঙ্গবন্ধু ম্যারাথন এবং ক্যালগেরির এই একই ম্যারাথন দৌড়ে অংশগ্রহণ করেছিলাম। এ বছর চতুর্থবারের মতো অংশগ্রহণ করেছি। একটিভ লিভিংয়ে অভ্যস্ত হতে এবং প্রেরণা জাগাতে ম্যারাথন দৌড়ের বিকল্প নেই।
Advertisement
অন্যদিকে নাফিস আহমেদ ও শারমিন ইয়াসিন মনে করেন, মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য সুস্থ রাখার অন্যতম উপায় হাঁটা অথবা দৌড়। এর কোনো বিকল্প নেই। এটা শুরু করলে যে ফিজিক্যাল ও মানসিক প্রশান্তি আসে, তা উপলব্ধি করার পর কেউ আর ছাড়তে পারবে না।
জেডএইচ/