পদ্মাসেতু বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বন্ধুত্বের একটি নতুন প্রতীক বলে মন্তব্য করেছেন চীনের ভাইস মিনিস্টার সান ওয়েইডং।
Advertisement
পদ্মা সেতুর প্রশংসা করে তিনি বলেন, এ কাঠামোটি বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বন্ধুত্বের একটি নতুন প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়েছে। দুই দেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং সমন্বয়ের মাধ্যমে অভূতপূর্ব অর্জন করতে পেরেছে।
রোববার (২৯ মে) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় চীনের ভাইস মিনিস্টার সান ওয়েইডং
Advertisement
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনের প্রশংসা করেন চীনা ভাইস মিনিস্টার।
এসময় ড. মোমেন বাংলাদেশের উন্নয়নযাত্রায় চীনের উল্লেখযোগ্য অবদানের কথা উল্লেখ দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের মধ্যে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে গঠনমূলক ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ড. মোমেন উভয় দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য বাংলাদেশে চীনা এফডিআইয়ের বৃহত্তর প্রবাহকে আমন্ত্রণ ও উৎসাহিত করেন।
চীনের ভাইস মিনিস্টার বাংলাদেশের উদ্যমী তরুণ জনগোষ্ঠীর প্রশংসা করেন, যারা সমাজ ও অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে সক্ষম। তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের ১০ম বার্ষিকীর কথা উল্লেখ করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে, বাংলাদেশ এ মহাপরিকল্পনা থেকে সর্বাধিক সুফল পাবে।
Advertisement
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়নে মুগ্ধ চীনা ভাইস মিনিস্টার
বৈঠকে উভয়ে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মিয়ানমারে তাদের স্বদেশে সুষ্ঠু ও দ্রুত প্রত্যাবাসনের চলমান প্রচেষ্টা পর্যালোচনা করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য আন্তরিক প্রচেষ্টার জন্য চীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
দুদিনের সফরে গত শুক্রবার (২৬ মে) দিনগত রাত সাড়ে ১১টায় ঢাকায় পৌঁছান চীনের ভাইস মিনিস্টার সান ওয়েইডং। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইস্ট এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক অনুবিভাগের মহাপরিচালক তৌফিক হাসান এবং ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। ভাইস মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই সান ওয়েইডংয়ের প্রথম ঢাকা সফর।
আইএইচআর/এমকেআর