দেশের নয়টি সেতু ও দুই সড়কে বাধ্যতামূলকভাবে ইলেকট্রনিক টোল ব্যবস্থা (ইটিসি বা ই-টোল) চালুর ঘোষণা দিয়েছে সরকার। চলতি বছরের অক্টোবর মাসের পর অর্থাৎ নভেম্বর থেকে এসব সেতু বা সড়কে ই–টোল ছাড়া কোনো যানবাহন টোল প্লাজা অতিক্রম করতে পারবে না।
Advertisement
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) গতকাল শনিবার (২৭ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। এই নয় সেতু ও দুই সড়ক সওজের অধীন।
যেসব সেতুতে ই-টোল বাধ্যতামূলক করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো- চট্টগ্রামের কর্ণফুলী সেতু, নারায়ণগঞ্জের মেঘনা সেতু, কুমিল্লার গোমতী সেতু, নরসিংদীর ভৈরব সেতু, পটুয়াখালীর পায়রা সেতু, খুলনার খান জাহান আলী (রূপসা) সেতু, নরসিংদীর চরসিন্দুর সেতু ও শহীদ ময়েজউদ্দিন সেতু এবং পাবনার লালন শাহ সেতু।
এছাড়াও নাটোরের আত্রাই টোল প্লাজা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কে ই-টোল বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।
Advertisement
ম্যানুয়ালি টোল আদায়ের ফলে সড়কে অনেক সময় অনাকাঙ্ক্ষিত জটলা লেগেই থাকে। এই জটলা নিরসন ও সড়ক সেতুতে যানবাহন চলাচল স্মুথ করতে ই-টোল কার্যক্রম চালু করতে যাচ্ছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)। মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস বিকাশ ও রকেটের মাধ্যমে ই-টোল সেবা গ্রহণকারীরা ১০ শতাংশ ছাড় পাবেন। অর্থাৎ কোথাও যদি ১০০ টাকা টোল থাকে তবে গ্রাহককে ৯০ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
এ বিষয়ে সওজের প্রধান প্রকৌশলী মো. ইসহাক জাগো নিউজকে বলেন, সড়কে চলাচল নিরাপদ ও স্মুথ করতে ই-টোল কার্যক্রম চালু করতে যাচ্ছি। এর মাধ্যমে টোল প্লাজার সামনে আর জটলা থাকবে না। রকেট বা বিকাশে টোল পরিশোধ করলে ১০ শতাংশ ছাড় পাওয়া যাবে।
ই-টোল দেওয়া যাবে যেভাবেসওজের বিজ্ঞপ্তিতে ই-টোল দেওয়ার পদ্ধতি তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, নেক্সাস পে, রকেট ও উপায় অ্যাপের মাধ্যমে ই-টোল দেওয়া যাবে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং এবং ই-পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমেও ই-টোলের সুবিধা পাওয়া যাবে।
টোল দেওয়ার জন্য গুগলের প্লেস্টোর থেকে অ্যাপগুলো ডাউনলোড করতে হবে। ‘নেক্সাস পে’–এর টোল কার্ডের ‘অ্যাড ভেহিকেল’ অপশনে গাড়ির প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে। এরপর কার্ডে টাকা যোগ করতে হবে। কার্ডের এই টাকা ব্যবহার করে ই-টোল দিতে হবে। সেতু বা মহাসড়কের ফাস্ট ট্র্যাক লেন ব্যবহার করতে এটি ব্যবহার করতে হবে।
Advertisement
‘উপায়’ অ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে টোল পেমেন্ট অপশন বেছে নিয়ে গাড়ির সব তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এরপর এই অ্যাপ দিয়ে ই-টোল দেওয়া যাবে। এছাড়া *২৬৮# ডায়াল করে গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংক মোবাইল নম্বর থেকে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।
‘রকেট’ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে গাড়ি রেজিস্ট্রেশন করতে রেজিস্ট্রেশন কার্ড বা ব্লু বুকের ছবি এবং রকেট অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়ে মেইল করতে হবে। rocket.toll@dutchbanglabank.com ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। রকেটে রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেলে মোবাইলে *৩২২# ডায়াল করে টোল কার্ড নির্বাচন করতে হবে। এরপর রকেট অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স থেকে প্রয়োজনীয় টাকা টোল কার্ডে স্থানান্তর করে ই-টোল দেওয়া যাবে।
এছাড়া ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের যেকোনো শাখা বা ফাস্ট ট্র্যাকে গিয়েও ই-টোল দেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। রকেট, উপায়ের হটলাইনে ফোন করে এ সংক্রান্ত আরও তথ্য পাওয়া যাবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এমওএস/কেএসআর/জেআইএম